তানোরে পানিতে ডুবে গেছে বিল কুমারী বিলের কয়েকশ’ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান


তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে বিল কুমারী বিলের নিম্ন এলাকায় রোপন করা কয়েকশ’ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান। ফলে ক্ষতির মুখে দিশে হারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তানোর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা তানোর বিল কুমারী বিলের পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করে পানির নিচে তুলিয়ে যাওয়ার পরিমান নির্ধারনের চেষ্টা ও কৃষকদের শান্তনা দিচ্ছেন।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বিল কুমারী বিলের ধার ঘেষে নি¤œ এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও কৃষকরা রোপা আমান ধান রোপন করেছেন। এবছর টানা বর্ষন ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিল কুমারী বিলের ধারের কয়েকশ’ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য বছরের চাইতে এবছর তানোর বিল কুমারী বিলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক বেশী। ফলে তালন্দ এলাকার লবাতলা ব্রিজের পশ্চিমের মাঠে রোপন করা রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সেই সাথে বিল কুমারী বিলের ধারের তালন্দ, কামারগাঁ, দমদমা, গোকুল, ধানতৈড়, কান্টা পুকুর, গুবির পাড়ার পূর্ব দিকের জমি কুঠি পাড়ার নিচের জমি পানির নিচে ডুবে আছে।

সেই সাথে আমশো, জিওল, ভন্দ্রখন্ড, বুরুজ এলাকাসহ নি¤œ এলাকায় রোপন করা কয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানির নিচে তুলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা সরকারের সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

কামারগাঁ গ্রামের কৃষক তোফাজ্জুল হোসেন বলেন, তিনি কামারগাঁ নি¤œ এলাকায় ৮বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান রোপন করেছিলেন কিন্তু বিল কুশারী বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ডুবে গেছে। একই এলাকার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, তিনি ৫বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান রোপন করেছিলেন কিন্তু এবার হঠাৎ করে টানা বর্ষণ ও বন্যার পানির নিচে তা ডুবে আছে।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম বলেন, বিল কুমারী বিলের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডুবে যাওয়া ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধানের কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, তানোর বিল কুমারী বিলের নি¤œ এলাকার ৮০ হেক্টরেরও বেশী জমির রোপা আমন ধান ডুবে আছে। দু এক দিনের মধ্যে যদি পানি নেমে যায় তাহলে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। আর যদি কয়েকদিন ধরে পানি এভাবেই থাকে তাহলে ফসল হবেনা। ফলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।