প্রত্যক্ষদর্শি ও সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা গেছে, রাজশাহীর কাটাখালি এলাকার বেলঘরিয়া গ্রামের জৈনক মৃত ব্যাক্তির ছেলে অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী (২০)’র সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের ধরে তানোর পৌর এলাকার জৈনক ব্যাক্তির (১৪) বছরের মেয়ে ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আজ (১৩ই সেপ্টেম্বর) রোববার প্রেমিকার জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১০টার দিকে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানাতে তানোরে আসে। এসময় তারা তানোর উপজেলা স্টেডিয়ামের পার্শ্বের গ্রাম শিতলী পাড়ায় প্রেমিকার সৎ ভাইয়ের বাড়িতে গেলে প্রেমিকার ভাবি তাদেরকে নাস্তা খেতে দেয়। কিছুক্ষন পর প্রেমিকার মা এসে প্রেমিকার ভাবিসহ প্রেমিক ও প্রেমিকাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এসময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিৎকার চেচামেচিতে গ্রামের লোকজন এসে প্রেমিক যুগলকে আটকিয়ে রাখেন।
এসময় সেখানে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে কয়েকজনের মধ্যে কয়েক ঘন্টা দেন-দরবারের পর গ্রামবাসী প্রেমিক যুগলকে আটক করে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো রাজশাহীতে মিটিং এ থাকায় প্রেমিক যুগলকে তানোর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্তকর্তার কার্যালয়ে রাখা হয়।
এনিয়ে আটক প্রেমিক যুগল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা একে অপরের বন্ধু, আমাদের মধ্যে খারাপ কোনকিছুই হয়নি। অপর দিকে গ্রামবাসীরাও বলেন, এদেরকে আমরা আপত্তিকর অবস্থায় ধরিনি গন্ডগোল ও চিৎকার চেচামেচির কারনে আমরা দেখানে গিয়ে তাদের জিঙ্গাসা করে জানতে পারি তাদের মদ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে প্রেমিকার জন্মদিন উপলক্ষে প্রেমিক যুগল এই গ্রামে ডেটিং এর জন্য এসেছিলো।
এরিপোর্ট লিখার সময় বিকাল ৪টায় পর্যন্ত প্রেমিক যুগলকে তানোর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্তকর্তার কার্যালয়েই ছিলো।