এইচএম.ফারুক, তানোরঃ বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর তানোরে ধুম পড়েছে সরিষা কাটা ও মাড়াইয়ের। এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। তবে ফলন ও দাম নিয়ে অসন্তোষ চাষিদের মধ্যে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা চাষে খরচ বেশি হয়েছে। সার কীটনাশক ও সেচের খরচ আগের চেয়ে বাড়তি দিতে হয়েছে।
কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির কৃষক আলাউদ্দীন আলী প্রামানিক জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ৬ মণ ফলন হয়েছে।
কৃষক লুৎফর রহমান, চকপ্রভুরাম গ্রামের জসিম উদ্দীনের ১ বিঘা, আলমের ৪ বিঘা রহিদুলের এক বিঘা, খোকনের তিন বিঘা, সোবহানের দেড় বিঘা জমিতে সরিষা উত্তোলন করে মাড়াই করেছেন।
বিঘায় কারো ৫ মণ, কারো ৬ মণ, ঊর্ধ্বে ৭ মণ করে ফলন হয়েছে। সুমন নামের আরেক চাষি জানান, ২ বিঘা জমিতে সরিষা মাড়ায় করে ১২ মণের মতো ফলন পেয়েছি।
আবজাল মৃধা দুলাল ও জলিল মোল্লা নামের চাষি জানান, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে মাত্র ৫ মন ফলন পেয়েছি।
কম ফলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, সরিষায় কয়েক বার রোগ হয়েছিল। মূলত এ কারণে ফলন কম হয়েছে। গতবার ভালো ফলন পেয়েছিলাম এবং দামও ভাল ছিল। কিন্তু এবারে লোকসান গুনতে হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় এই প্রথমবারের মতো ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা ইতিপূর্বে কখনো দিন চাষ হয়নি। গত বছর ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। উপজেলার পাড়া মহল্লায় সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করন, কৃষক মাঠ দিবস সহ নানা ভাবে আগ্রহ তৈরি করার কারণেই এবারে রেকর্ড ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও চাষীদের মাঝে সার্বক্ষণিক তদারকির কারণে ফলনও ভালো হয়েছে।
হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৫ মেট্রিকটন ফলন ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন সরিষার তেল উৎপাদন হবে। অন্য আবাদের তুলনায় সরিষা চাষে খরচ অনেক কম। কোন চাষির লোকসান হবে না। সরিষা চাষে যেমন তেলের চাহিদা পুরুন হয় ঠিক একই ভাবে গোখাদ্যের প্রধানতম খাবার খৈল তৈরি হয় এবং জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার হয়।
তিনি আসা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে উপজেলায় আরো বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হবে।