তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিতে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে দেশ : পলক


নাটোর প্রতিনিধি: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিতে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে দেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্তর্ভূক্তিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকার।

প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দেশের প্রথম জিআই পণ্য মেলা উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর করে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় অন্তর্ভূক্তিমূলক স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হচ্ছে।

তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে ২০৪১ সালের আগেই আমরা পৌঁছে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের অভীস্ট লক্ষ্যে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ২৫ লক্ষ শিক্ষিত ব্যক্তির চাকুরীর সংস্থান কোনক্রমেই সম্ভব নয়, তবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। কেউ কর্মহীন থাকবেনা। এ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পাবলিক-প্রাইভেট,সরকারী-বেসরকারী,স্থানীয়-জাতীয়-আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসংখ্য উদ্যোগ, প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার।

এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। শী-পাওয়ার,হার-পাওয়ার-এ দু’টো প্রশিক্ষণ কর্মসূিচতে দেশে ৩৭ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, টিটিসি, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ-এসব প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তরুণ-তরুণীদের কর্মমুখী জনশক্তিতে পরিণত করছে।

পলক আরো বলেন, দেশে লোকসানে থাকা ডাকঘরকে লাভজনক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নয় হাজার ৯৭৪টি ডাকঘরের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ই-পোষ্ট সেন্টারে পরিণত করা হচ্ছে। আধুনিক ভবন তৈরী এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে প্রত্যেক ডাকঘর এক একটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত হচ্ছে।

শুধু চিঠির লেনদেন নয় ব্যাংকিং, লজিষ্টিকস্, ই-কমার্স, গ্রোসারি-শপ, ডিসপেনসারী কার্যক্রমও পরিচালিত হবে ডাকঘরে। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসার ঘটাতে ডাকঘর আধুনিকায়নের এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।