আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। বাণিজ্য যুদ্ধ দিয়ে শুরু হয়ে করোনা আবহে তা তীব্র হয়েছিল। এরপর তাইওয়ান, হংকং নিয়ে টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। এবার সম্ভবত তা চরম সীমায় নিয়ে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন কংগ্রেসে বিল পেশ করেছেন সদস্য স্কট পেরি। যা পাশ হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের অধীনে থাকা স্বায়ত্তশাসিত তিব্বতকে ‘স্বাধীন দেশ’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পাবেন।
উল্লেখ্য, চীন কোনওদিনই তিব্বতের আলাদা অস্তিত্ব স্বীকার করে না। কখনও চীন সরাসরি, কখনও ব্রিটিশরা তিব্বতের উপর পরোক্ষে প্রভুত্ব করেছে। কিন্তু সেটা ঔপনিবেশিক যুগে। ১৯১২-তে ত্রয়োদশ দলাই লামা শেষবার তিব্বতকে স্বাধীন রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
১৯৫৯ সালের ২১ মার্চ চীন তিব্বতের দখল নেয়। যদিও তাকে মান্যতা না দিয়ে দলাই লামা ভারতে বসে নির্বাচিত তিব্বতি সরকার পরিচালনা করে চলেছেন। তা নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে দ্বন্দ্বও নতুন নয়। সেই আবহেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ চীনকে যথেষ্ট চাপে ফেলে দিল।
বিদেশে স্বেচ্ছানির্বাসিত তিব্বতি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পদক্ষেপ তীব্র উত্তেজনা তৈরি করেছে।
কূটনীতিকরা এই পদক্ষেপকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন। কিন্তু তিব্বতিরা টুইট করে জানিয়েছে, ‘দারুণ পদক্ষেপ। আজ হোক বা কাল, এটা হবেই। শুধু স্বায়ত্তশাসিত এলাকা নয়, গোটা তিব্বতকেই এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করুন স্কট পেরি। খাম এবং আমদো যুক্ত হয়ে স্বাধীন, পৃথক তিব্বত গঠিত হোক।’
এদিকে মার্কিন পদক্ষেপে উৎসাহিত উইঘুর মুসলিমরাও। তাদের হয়েও কথা বলতে আমেরিকাকে আরজি জানিয়েছেন তারা।