মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় দুইটি ভূমি অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যবধি সমাপ্ত করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম। উক্ত ঠিকাদারকে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে কয়েক দফায় লিখিত ও মৌখিক ভাবে কাজের তাগাদা দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণে বিলম্ব হবার ফলে পুরনো ভবনে কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের তথ্যমতে জানাগেছে, উপজেলার শিরন্টী-গোয়ালা ও সাপাহার-তিলনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে ২৮ মে ২০১৮ তারিখে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চুক্তি মোতাবেক ১৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে উক্ত বিল্ডিং দু’টোর নির্মাণ কাজ সমাপ্তি করার সময় নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে কাজ সম্পূর্ণ করতে না পারার ফলে ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত আবারো সময় দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের নির্দেশনাকে অমান্য করে অদ্যবধি ভবন নির্মান কাজ শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম। যার ফলে জায়গা সঙ্কট সহ নানাবিধ সমস্যার কারনে পুরনো ভবনে কাজ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগনকে।
সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয় ভূমি অফিস ও গোয়ালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজের চুক্তি নেওয়ার পর দুই বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের প্রতি অভিযোগ সাধারণ জনগনের। (বক্তব্য)
স্থানীয়রা জানান, এই ভবন গুলো প্রায় দুই বছর ধরে কাজ চলছে কিন্তু তারা কখনো ঠিকাদারকে দেখেননি। মাঝে মধ্যে দু’ একজন মিস্ত্রি এসে কাজ করে চলে যায়। তারপর দীর্ঘদিন ধরে আর মিস্ত্রীদের দেখা যায়না। এভাবেই নড়বড়ে ভাবে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ কোন মিস্ত্রী তিলনায় ভবন নির্মানের কাজ করতে আসেনি। অনেকদিন আগে মিস্ত্রি এসে রড বেঁধে দিয়ে চলে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকার ফলে রড গুলো মরিচা ধরে যায়।
বিষয়টি নিয়ে গোয়ালা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, “আমি যোগদান করার তিন বছর হচ্ছে। এর মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেন কাজ শেষ হচ্ছেনা বিষয়টি আমি জানিনা। আমাদের এ পুরনো ভবনে জায়গা সঙ্কটের কারনে কষ্ট করে জনগনকে সার্ভিস দিতে হচ্ছে”।
অপরদিকে একই কথা বলছেন তিলনা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কয়েকদফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখিত এই দুটি ভূমি অফিসের কাজ দুই বছরেও শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ জনগন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের। অনতিবিলম্বে ভবন দুটির কাজ শেষ করা হোক এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার সাধারণ জনগনের।