![](http://rajshahipratidin.com/wp-content/uploads/2024/02/Untitled-1-copy-300x146.jpg)
৭ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত ১১টার দিকে নওপাড়ার গ্রামের আংরার বিল সংলগ্ন শেখপাড়া বিলে স্কুল শিক্ষক মকবুল শেখ এর পানবরজে আগুন লাগলে পার্শ্বের পুকুরের পাহারাদার দেখতে পেয়ে চিৎকার করে পাড়ার লোকজনকে ডাকে এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানায়। পুকুর পাহারাদারের চিৎকারে কিছু এলাকাবাসী প্রথমে আগুন নেভাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে মসজিদের মাইকে আগুন নেভাতে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চান।
মাইকিং শুনে শতাধিক গ্রামবাসীরা ঘরছেড়ে অগ্নিকান্ডের স্থানে ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে আগুন বিস্তিত হয়ে পার্শ্বের আব্দুস সামাদ, সাজ্জাদ, শামসুল সহ অন্যান্য পানচাষীদের পানবরজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুড়তে থাকে। ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌছাঁনোর আগেই নওপাড়ার শতাধিক গ্রামবাসীর পৌনে এক ঘন্টাব্যাপী আপ্রান চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গ্রামবাসীর চেষ্টায় আগুন নেভানোর কারণে পাশ্ববর্তী ২৫ থেকে৩০টি পান বরজ আগুন থেকে রক্ষা পায়।
এই সময়ের মধ্যেই আগুনে পুড়ে যায় ২৫ পুন লগড়ের ৮-১০টি পানবরজ। এতে প্রায় কুড়িলক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী সহ স্থানীয়রা৷ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মধ্যরাতেই খবর পেয়ে ছুঁটে যান ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম শফি। তার বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে ক্ষতিগ্রস্থদের সান্তনা দেন। দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা অনেক চেষ্টার পরেও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত খুঁজে পায়নি। এলাকাবাসী দুইটি সূত্রে আগুন লাগতে পারে বলে ধারনা করেছেন। সেটি হয় শত্রুতা না হয় মাদক গাঁজাসেবীদের আগুনে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা।
৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের বিভিন্নভাবে সান্তনা দিয়ে তাদেরকে সরকারী ভাবে সহযোগীতা নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, অগ্নিকান্ডে পানবরজ পুড়ে ছাঁই হয়ে যাওয়া পানচাষী সাজ্জাদ আলী বলেন, আমি একজন দরিদ্র মানুষ। দিনমজুরি করে কিছু টাকা জমিয়ে আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পানবরজটি গড়েছিলাম। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পথে বসে গেলাম।
আমি এখন কি করবো, আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি, এখন পরিবার সন্তানদের নিয়ে কিভাবে দিনপাত পাড়ি দিবো। এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পানচাষী থানায় এসে সাধারন ডাইরি বা অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।