অজয় ঘোষ, রাজশাহী: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স পিওএম কনফারেন্স রুমে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ১০ টায় এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মোঃ সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সালমা বেগম, উপ-পুলিশ কশিনার (সদর) মোঃ রশীদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মোঃ সাজিদ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) বিভ’মি ভ’ষন বানার্জী, উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) মোঃ আরেফিন জুয়েল, উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) আবু আহাম্মদ আল মামুন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা ও উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারবৃন্দ সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি সিনিঃ সহ সভাপতি এবং বাগমারা উপজেলা চেয়ারমান অনিল কুমার সরকার, বৃহত্তর রাজশাহীর হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি তপন কুমার সেন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি ড. সুজিত সরকার, সেক্রেটারী শ্যামল কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, রাজশাহীর সভাপতি অলোক কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড শরৎচন্দ্র সরকার সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃত্ববৃন্দ।
এবার রাজশাহী মহানগরী এলাকায় ৮৭ টি পূজামন্ডপে পুজা উদযাপিত হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২০ যথাযথ ধর্মীয় বাধ্যবাধকতায় আলোকে উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্তে বিশেষ সভায় পুলিশ কমিশনার মহোদয় রাজশাহী মহানগরী এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে ও প্রতিমা প্রস্তুত করণ, প্রতিমা প্রস্তুত কালীন এবং পূজা চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ আইন শৃংখলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। পুলিশ কমিশনার মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আরএমপি’র পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নেতৃবৃন্দকে আহবান জানান।
পূজামন্ডপ গুলোতে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমণ লাইন রাখার এবং পূজা মন্ডপে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক রাখার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন। পূজা মন্ডপের প্রবেশ গেইটে মেটাল ডিটেক্টর রাখার জন্যও পূজা কমিটিকে পরামর্শ প্রদান করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জগণকে পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্বিগ্নেপূজামন্ডপ দর্শণ করতে পারে। প্রতিটি পূজামন্ডপ কমিটিকে সকল ধর্মের সমন্বয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের আহবান জানান।