দূর্গাপুরে স্কুল ছাত্রীর রহস্য জনক মৃত্যু


দূর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার আনুলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সাথী (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রীর রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যারাতে কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের অনুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাথী আনুলিয়া গ্রামের জফির উদ্দীনের মেয়ে। সে তাহেরপুর রিভারভিউ গর্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর একজন মেধাবী ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের সাঈদ প্রাংমানিকের তৃতীয় ছেলে জহুরুল প্রাংমানিক (২৩) নামে এক প্রভাবশালী পরিবারের ছেলের সাথে নিহত সাথী প্রেম করে প্রায় ২ বছর থেকে। মেয়ের পরিবার থেকে বিষয়টি বুঝতে পেরে বিয়ের জন্য প্রস্তাব নিয়ে যায় নিহত সাথীর বাবার এক বন্ধু বেশ কয়েকবার কিন্তু ছেলের পরিবার থেকে তাদের অপমান করে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, প্রেমিক জহুরুল এর সাথে ফোনে রাগারাগি করেই এ মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে নিহত সাথী। এবং সেদিন প্রেমিক জহুরুল এর সাথে দেখা করে কথা কাটাকাটি হতে ও দেখেছেন তিনি। তাকে আত্নহত্য করতে বাধ্য করা হয়েছে।
নিহত সাথীর মা জানান, প্রতি দিনের ন্যায় সন্ধ্যার সময় পড়তে বসার জন্য নিহত সাথীকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরে টয়লেটে পানি পড়ার শব্দ শুনে গিয়ে দেখি সে দড়ি গলায় পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।
নিহত সাথীর প্রতিবেশী জানান, ছেলের সাথে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তারা প্রায়ই দেখা করতো । ছেলের পরিবার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে, এবং এর আগেও জহুরুল একাধিক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরে কৌশলে তাদের সর্বনাশ করেছে। আমরা এই নিহত সাথীর আত্নহত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জহুরুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় এবং তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশিদা বানু কনা জানান, ঘটনার স্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে রামেকে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে মৃত্যুর কারণ বেরিয়ে আসবে।