নওগাঁর আত্রাই এ ১৬ একর সরকারি সম্পত্তি দখল মুক্ত করতে হুলিয়া জারি


রায়হান আলম, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার মূল্যের ১৬ একর ৬২ শতক জায়গার অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করতে মাইকিং করে ও ঢোল পিটিয়ে লাল রংয়ের নিশানা ঝুলিয়ে হুলিয়া জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেইসাথে ঐ সীমানার মধ্যে চলমান সকল ধরনের নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ র‌্যালী ব্রাদার্স কোম্পানি লিমিটেড আত্রাই সদরের বিহারীপুর এলাকায় ১৬ একর ৬২ শতকজায়গায় র‌্যালী ব্রাদার্স জুট মিল স্থাপন করে। পরে সেটি রাষ্ট্রায়ত্ত করা হয়। মিলটি লাভজনক না হওয়ায় ১৯৯৩ সালে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে দুটি টিনের ছাউনির বিশাল আকৃতির পরিত্যক্ত গুদাম ও সেই সময় অফিস হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভবন ছাড়া মিলের আর কোনো চিহ্ন নেই।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক যুগ ধরে প্রচারিত হয়ে আসা আত্রাই-নাটোর সড়কের পশ্চিম পাশে এবং আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১৬ একর ৬২ শতক জমি র‌্যালী ব্রাদার্স পরবর্তীতে জুটমিল কর্পোরেশন এর নামে খ্যাত জায়গা। বিভিন্ন সময় সরকারের চোখ ফাঁকিদিয়ে র‌্যালী ব্রাদার্স পরবর্তীতে জুটমিল কর্পোরেশন তাদের জায়গা বলে বিভিন্ন জনকে অবৈধভাবে লিজ দিলেও এ জমিগুলো ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত।

 

অনেকে লিজ নিয়ে, আবার কেউবা পেশি শক্তি প্রয়োগ করে প্রকৃত পক্ষে সরকারের এ জায়গাগুলো দখল করে স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে অনেকে নিজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। আবার অনেকে অর্থের বিনিময়ে নির্মিত ঘড় গুলো হস্থান্তরিত করে চলেছেন। ফলে যুগ যুগ ধরে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব প্রাপ্তি হতে বি ত হয়ে আসছে।

 

সরকারি জমি হওয়ায় পুরো ১৬ একর ৬২ শতক জমিতে অবস্থানরত এবং নতুন করে নির্মানাধীন সকলকে জায়গা খালি করে দিতে ঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে ঘোষনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছানাউল ইসলাম। এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) আরিফ মুর্শেদ মিশু, আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিনসহ ব্যবসায়ী মহল উপস্থিত ছিলেন।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম বলেন, রেলি ব্রাদার্স পরবর্তীতে জুটমিল কর্পোরেশন নিজেরা মালিক না হয়েও অবৈধভাবে সম্পত্তি গুলোর লিজ দেয়। এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেসী মহল নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে সম্পতি দখল করে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করে। রেলি ব্রাদার্স পরবর্তীতে জুটমিল কর্পোরেশনের অস্তিত্ব না থাকায় এবং এ জায়গাগুলো সরকারী হওয়ায় দখলমুক্ত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ জায়গাগুলো দখলমুক্ত করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এবং এলাকাবাসীর ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য স্থায়ী স্থাপনা নির্মানে সরকারের পরিকল্পনার কথাও   জানান তিনি।