নওগাঁয় এক বাড়িতে চুরি করতে এসে বাড়ির গৃহকর্তা, স্ত্রী ও কন্যাকে ছুরিকাঘাত করে পলায়ন


রায়হান আলমন, ওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ শহরে এক বাড়িতে চুরি করতে এসে বাড়ির মালিক জানতে পারলে বাধার সম্মুখীন হয়ে ওই বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী এবং কন্যাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। আহত গৃহকর্তা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী ও কন্যা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎনাধীন রয়েছেন। 

খবর নওগাঁ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দ্দী হোসেন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সুত্রে জানা গেছে শহরের চকবাড়িয়া এলাকায় মোল্লা রুহুল কুদ্দুস নামের এক সরকারী কর্মচারীর বাড়িতে সোমবার রাত প্রায় সোয়া ১টায় সিড়ি ঘরের অস্থায়ী দেয়াল ভেঙ্গে একজন চোর ভিতরে প্রবেশ করে। আরও কয়েকজন বাইরে অবস্থান নেয়। চোর ভিতরে প্রবেশ করলে উক্ত কুদ্দুসের কন্যা আঁখি দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।

 

এ সময় উক্ত চোর তাকে ছুকিাঘাত করে। হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে দুই হাতের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত হয়ে আহত হয়। তাকে রক্ষা করতে গেলে তার পিতা কুদ্দুসের গলার নিচে বুকে ছুরিকাঘাত করে। সিড়ি ঘরের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম চোরের দুই পা ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় চোরেরা মাহফুজা বেগমকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারে। এতে তিনি চোখ এবং মুখমন্ডলে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন।

চোর দ্রুত সিড়ি ঘরের ভাঙ্গা দেয়াল দিয়ে পালিয়ে গেলে প্রতিবেশীরা আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে রাতেই কুদ্দুসকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। মা মাহফুজা বেগম এবং কন্যা আঁখি বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেছেন একজন চোর সন্ধ্যা রাত থেকেই সুযোগ বুঝে বাড়ির মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে অবস্থান করছিলো। কিন্তু সিড়ি ঘরের ভাঙ্গা দেয়ালের ইটগুলো যেহেতু পাশের বাড়ির সানসেটে সাজানো ছিলো সেহেতু ধারনা করা হচ্ছে ঘটনার সময় পরিকল্পিত ভাবে দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে থাকতে পারে।