গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘গণ অধিকার পরিষদ’। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের।
ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকারের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এই দলের আহ্বায়ক হিসেবে অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়ার নাম ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর। পরে সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ও যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদ খানসহ ৮৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।
সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নতুন এ দল গঠন নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘এটা কোনো ব্যক্তির দল না। ড. রেজা কিবরিয়ার দল না। নুরের দল না। এ কারণেই আমরা নাম দিয়েছি গণ অধিকার পরিষদ। আমাদের রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়াকে।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সৃষ্টি করা হয়েছে; সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমে আমাদের কাজ হবে, বিভাজন দূর করতে কাজ করা। একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনির্মাণের চেষ্টা করা। পরিস্থিতি বিবেচনায় এটাই আমাদের বর্তমান ফোকাস।’
‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তো একটা পারিবারিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের দলগুলোর মধ্যে তো ন্যূনতন গণতন্ত্র নেই। কীভাবে তারা গণতন্ত্র উপহার দেবে? যে কারণেই যারা যখন ক্ষমতায় গেছে, স্বৈরতান্ত্রিকভাবে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে’, যোগ করেন নুরুল হক নুর।
নতুন এ দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নুর বরেন, ‘এই সংগঠনের সর্বশেষ সদস্য স্বপ্ন দেখতে পারবেন, সে এ দলের সভাপতি বা চেয়ারম্যান হবে। এবং এ দল থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। অন্য দল থেকে ওই দলীয় প্রধানের বাইরে কেউ স্বপ্ন দেখতে পারবে না।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলে দেশে কার্যত এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে। কাজেই তাদের (আওয়ামী লীগ) অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এখন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার আদায়ের জন্য আন্দোলন হবে নাকি গোলটেবিল হবে, মাঠে-ময়দানে কি হবে; সেটা সামনের পরিস্থিতি বুঝে ঠিক হবে।’
‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে ২১ দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদ খান।
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অভিভাবক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।