নাটোরে আম সংগ্রহের উদ্বোধন


নাটোর প্রতিনিধি: “কৃষিই সমৃদ্ধি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নাটোরে গোপালভোগ আম পাড়ার মাধ্যমে আম সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সদর উপজেলার কামার দিয়ার এলাকায় একটি বাগানে এই আম সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শুরু হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক লুৎফুন্নাহার, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সোনিয়া পারভীন সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, আম চাষি এবং ব্যবসায়ীরা।

এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নাটোর কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় সারা বছর বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে আম একটি ফসল। এ বছর জেলায় ৫৭১৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। তীব্র তাপদাহের কারণে এবার কৃষকদের সেচ ও কীটনাশক দিতে হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সব সময় কৃষকদের সেচ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেচ দিতে না পারলেও স্প্রে করার পারামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বছর আমের ফলন কম হলেও কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পেলে লাভবান হবে।

শাহজাহান আলী, শহিদুল ইসলাম, আবু রায়হানসহ আম বাগান মালিকরা বলেন, এ বছর তীব্র তাপ দাহের কারণে আমির মুকুল যেমন কম এসেছে তেমনি আমের ফলনও কম হয়েছে। আমে পোকার কারণে সেচ ও ঔষধে খরচ হয়েছে বেশি, ফলনও কম। আম ঝরে পড়ে যাচ্ছে। এতে আমে তাদের লাভ হবেনা। গত বছরের তুলনায় আমের দামও কম। গত বছর যেখানে আড়াই লাখ টাকায় বাগান বেচেছেন সেখানে এবার দেড় লাখ টাকাও দাম বলছে না।

মানিক মিয়া, সোবহানসহ আম ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন জায়গায় তারা আমের জন্য যাচ্ছেন। কিন্তু গাছে আমের ফলনও কম। আম ঝরে ঝরে পড়ে যাচ্ছে। আমের ফলন কম হওয়ায় আমের ব্যবসা করা যাবেনা।

আমের আড়ৎদার কামনুজ্জামান রউফ বললেন, আমের দাম গতবারের তুলনায় অনেক কম, আমদানীও কম। গতবার আড়তে এই সময় প্রতিদিন তাদের আড়তে ১৫০ থেকে ২০০ মণ আম আমদানি হতো। কিন্তু এবার ৫০/৬০ মন আমও আমদানি হচ্ছে না।

এর পরেও আমের দাম খুব কম। গতবার ব্যাপারিরা যেখানে প্রতিমন গোপালভোগ আমের দাম ২০০০টাকা থেকে ২২০০ টাকা দিয়েছিল সেখানে এবার ১৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা মন বলছে। আমের দাম বৃদ্ধি হলে কৃষকের, ব্যবসায়ীদের সহ সবাই লাভবান হবে।