নিম্নমানের জন্য চীনা পণ্যের কদর কমছে বাংলাদেশে


বাংলাদেশের বাজারে বেশিরভাগ চীনা পণ্যের কোন ওয়ারেন্টি বা পণ্য নিশ্চয়তা না থাকায় দিন দিন এর চাহিদা কমছে। এছাড়া, অন্যান্য দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশিরভাগ চীনা পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় এটি টেকসই হয় না আর এগুলো মেরামত করতে হলে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় পণ্যটির চীনা পার্টস। নিম্নমানের এসব চীনা পণ্য কিনে তাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্রেতারা। সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে চীনা পণ্যগুলো নিম্নমানের হতে থাকলে বাংলাদেশি ক্রেতারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যান্য দেশ তাদের পণ্যগুলো বাজারে ছাড়ার আগে যে মানের ’রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ করে তা চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে তেমন দেখা যায় না।

মো: সেলিম নামের এক চীনা পণ্য বিক্রেতা জানান, ”চীন পণ্যগুলো কম দামে সস্তায় পাওয়া যায় এবং এগুলোর কোন ওয়ারেন্টি থাকে না, যি কিছু বিক্রেতা মানুষকে আকর্ষণ করতে ওয়ারেন্টি দেয় কিন্তু আপনি যখনই এগুলি সারাতে যাবেন তখনই আপনাকে অনেক উচ্চমূল্য দিতে হবে। তখন দেখা যায় পণ্যের দাম ও এর যন্ত্রাংশের দাম প্রায় কাছাকাছি।” ব্যবসায়ের স্বার্থে নানা ধরনের ক্রেতার সঙ্গে মত বিনিময় করেন আরেক বিক্রেতা মো: রুবেল। তাঁর মতে, ”কোম্পানি যে কোন দেশেরই হোক না কেন তা অ্যাসেম্বল হয় চীনে। চীন থেকে আসার কারণে আমরা কমে পাচ্ছি। ক্রেতারা আগে যে নোকিয়া ব্যবহার করেছেন সেগুলো আর এখনকার নোকিয়া একরকম নয়।

আগেরগুলো অনেক মুজবুত ছিলো কিন্তু এখনকারগুলো ততটা মজবুত না। পণ্য যেমন সস্তা এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।” চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে খুব একটা আস্থা নেই ক্রেতাদেরও। সাজিদ নামের একজন ক্রেতা জানান যে চীনা পণ্যগুলোর মডেল খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। অনেক সময়ই বছরে নতুন দু’টা মডেল বাজারে আসে। তখন আগের পণ্যগুলো চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা হারায়। আরেকজন ক্রেতা জানান, ”একটি কথা প্রচলিত আছে, চায়নার পন্য বেশিদিন টিকে না। কয়েকদিন ব্যবহারের পর নতুন যন্ত্রাংশের দরকার হবে।

কিন্তু আপনি জাপানি একটি পণ্য ব্যবহার করলে ৫-১০ বছরে কোন সমস্যাই হবে না।” এদিকে, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টারস এসোসিয়েশনের পরিচালক রেজওয়ানুল হক বলেছেন, ”আমরা দেখছি ইউরোপিয়ান, আমেরিকান অথবা জাপানী পণগুলো বাজারে আসার আগে বেশ সময় নিয়ে তারা ’রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ পর্যায়ের কাজ করে। অনেক সময় দেখা যায় যে তারা শুধু ২ বছর ধরে ’আর এন্ড ডি’ এর কাজই করছে। কিন্তু চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।

অতএব আমি বলব শুধুমাত্র মানহীন সস্তা পণ্য দিয়ে বাজার ধরা যাবে না। এখানে যে বাজার আছে তা উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য ও প্রতিযোগীতামূলক দাম না হলে ধরা যাবে না।” সেক্ষেত্রে ক্রেতারে আস্থা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দেন তিনি।