
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পাঁড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে একটি খাস পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে চাষ করা হয়। ওই পুকুরে আজ গ্যাস করে। গ্যাস করার পর কয়েক ধাপে মাছ ধরে ইউপি চেয়ারম্যান এর লোকজন। পরে গ্রামবাসী পুকুরে মাছ ধরতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান পুকুরে গিয়ে গালিগালাজ করে উঠে যেতে বলে।
এসময় পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা একটি বাঁশ তুলে শ্যামলী নামের এক মেয়ের দিকে ছুড়ে মারে। এ সময় সকলে চেয়ারম্যানের ভয়ে পুকুর থেকে উঠে যায়। কিছুক্ষণ পর আবারও গ্রামের মানুষ মাছ ধরতে গেলে চেয়ারম্যান হাতে লাঠি নিয়ে গিয়ে উজ্জ্বলকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সকলকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয় গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, সাধারণত পুকুরে গ্যাস করার পর চেয়াম্যান এর লোকজনের মাছ ধরা শেষ হলে গ্রামবাসী মাছ ধরে। প্রয়োজনীয় মাছ তুলে নেওয়ায় মাছ ধরার উদ্দেশ্যে আমরা পুকুরে নেমেছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান গালিগালাজ ও আমাকে মারধর শুরু করে। চেয়ারম্যান বলেই কি তিনি এমনভাবে মারধর করবেন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি মিমাংসা না হলে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমার জানা নেই। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।