নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুরে কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানী ও আপত্তিকর ছবি তোলাসহ মাথার চুল কেটে ফেলার ভিডিও ধারনের চা ল্যকর ঘটনায় আরো এক অজ্ঞাত নারী আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত নারী রূপা (২০) এ মামলার প্রধান আসামী রায়হানের স্ত্রী। মঙ্গলবার গভীর রাতে মান্দা উপজেলার পরানপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে কলেজছাত্রীর বাবার করা মামলায় সোমবার ঝাঝিরা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। এ মামলায় আটকের সংখ্যা দাঁড়ালো ২।
এ নিয়ে বিভিন্ন প্রত্রিকায় “নিয়ামতপুরে কলেজছাত্রীর চুল কেটে শ্লীলতাহানী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে ঝড় উঠে এলাকায় ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তোড়জোড় শুরু হয় প্রশাসনে। ছুটে আসে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরাও।
উল্লেখ্য, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীকে রবিবার প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি তুলে বখাটেরা। এসময় ওই ছাত্রীর মাথার চুল কাটে এক নারী ও চুল কাটার দৃশ্যটি ভিডিও করা হয়। পরে কলেজছাত্রীকে ঘটনাটি কাউকে না বলার ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বাড়ীতে ফিরে পুরো ঘটনাটি বললে পরদিন ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর সোমবার ঘটনার মূল হোতা রায়হানকে আটক করে পুলিশ। এরপর কলেছাত্রীর চুল কাটার এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ভিডিও ফুটেজ দেখে চুলা কাটার ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আটককৃত নারী রূপা মান্দা উপজেলার পরানপুর গ্রামে তার ফুফু বাড়ীতে আতœগোপন করেছিল।
নারী আসামী আটক হবার পর পরই বুধবার নিয়ামতপুর থানায় ছুটে আসেন পুলিশ সুপার আব্দুর মান্নান বিপিএম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় মামলার পরপরই আমরা মুল হোতা রায়হানকে আটক করেছি। এরপর এক দিনের মধ্যেই অপর নারী আসামী রুপাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুতনা কেন আমরা সকল আপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।