শাহজাহান শাজু, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:- নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে বিয়ের মাইক্রো বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
নগদ ত্রিশ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক মূল্যের মোবাইল, সোনার গহণা লুট হয়েছে। জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের কুন্তইল গ্রামের পার্শে ফাকা রাস্তায় সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল মাইক্রো বাস আটকিয়ে নগদ ত্রিশ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক মূল্যের মোবাইল, সোনার গহণা লুটপাট করে।
রাত ১.৩০টার দিকে সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে শিবপুর পুলিশ তদন্ত্র কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকুল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির স্যারকে অবগত করি।
সরেজমিনে গেলে সন্তেষ গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, আনুমানিক বুধবার রাত ১০টার দিকে আমার ছেলের বিয়ে নিয়ে কুসমইল গ্রামের আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে রওনা হই। মেয়ে পছন্দ হওয়ায় বিয়ে দিয়ে বউ নিয়ে আসতে রাত আনুমানিক ১টার সময় বাড়ির পথে সন্তোষ রওনা হই। পথিমধ্যে কুন্তইল গ্রামের পার্শে ফাকা রাস্তায় আসলে একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত আমাদের মাইক্রোকে পিকাপ ভান দিয়ে পথ রোধ করে।
আমাদের গাড়ির পিছনে একটি আমাদেরই মটর বাইক নিয়ে আমার ভায়রা মাহাবুর সামনে গেলে তাকে চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়াদিয়ে এলোপাথাড়ি মার ধর করে এবং আমাদের গাড়ির সকলকে অস্ত্র দেখিয়ে বলে যার কাছে যা কিছু আছে দিয়ে দাও। উপায় না পেয়ে সবকিছু আমরা দিয়ে দেই। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল লুটে মালামাল নেওয়ার পর চলে গেলে আমাদের চিৎকারে পারর্শবর্তী গ্রামের লোকজন ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে এবং মাহাবুরকে নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ডাকাতির ঘটনা শুনার পর ঘটনা স্থলে উপস্থিত হই। এরপর অনেক অভিজান চালিয়ে গেলাম রাব্বানী(২৫) পিতা জবির উদ্দীন, ছাদেকুল ইসলাম(২৬) পিতা আলম শেখ উভয়ের গ্রাম লক্ষিপুর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করি।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি ৩৯৪ ধারায় দস্যুতা মামলা দায়ের করা হয়েছে।