নেতানিয়াহুর কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন মাক্রোঁর


মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ আরো তীব্র করেছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বুধবার ফোনে কথা হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর। মাক্রোঁ জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর কাছে সংঘর্ষ-বিরতির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। গাজা স্ট্রিপে মানবিক সাহায্য পাঠানো এখন সময়ের দাবি। ফলে সেই মতো সংঘর্ষ-বিরতির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

বস্তুত, জর্ডনের সঙ্গে মিলিতভাবে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ফ্রান্স। গাজায় গিয়ে সরাসরি এই কাজে যোগ দেওয়ার কথাও বলেছে ফ্রান্স। মাক্রোঁর বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে।

আবার খাদ্যসংকটের সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। বুধবার ডাব্লিউএইচও-র প্রধান একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে এক ভয়ংকর খাদ্যসংকটের মুখে পড়বে গাজা স্ট্রিপ। কয়েকলাখ মানুষ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ডাব্লিউএইচও বিবৃতিতে বলেছে, গাজার সর্বত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না মানবিক কর্মীরা। বহু জায়গায় তাদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। লড়াইয়ে তাদেরও প্রাণ গেছে। জিনিস নিয়ে তারা বার হলেই ক্ষুধার্ত মানুষ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে খাদ্যসংকট থেকে গাজাকে বাঁচানো যাবে না। এর আগেও এবিষয়ে দীর্ঘ রিপোর্ট দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একাধিকবার সংঘর্ষ-বিরতির আবেদনও জানানো হয়েছে ডাব্লিউএইচও-র পক্ষ থেকে।

আঙ্কারায় এক সভায় নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুধু তা-ই নয়, জার্মানির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, জার্মানি এখনো অতীতের ভুলের খেসারত দিচ্ছে। সে কারণেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছে না।

এরদোয়ানের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, কুর্দদের গণহত্যা করেছেন এরদোয়ান। বস্তুত, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, হামাস নেতাদের সাহায্য করেছে তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েল হামাসকে শেষ না করে এই অভিযান বন্ধ করবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণ চালায় হামাস। হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বহু মানুষকে পণবন্দি করে হামাস। তারপরেই হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে ইসরায়েল।

হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলের সেনা। তারই জবাবে দক্ষিণ লেবাননে পাল্টা রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বস্তুত, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই হিজবুল্লাহ একাধিকবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলও তার জবাব দিয়েছে।