সাহিদ হাসান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের নাগরগোলা জিসি ছালিগ্রাম পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ করছে সাদিকুল ইসলাম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলমান এ রাস্তার নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণাধীন রয়েছে রাস্তাটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদিকুল ইসলাম রাস্তাটি নির্মাণ করছেন। চলমান এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার প্রাইম কোড করার সময় বিটুমিনের পরিমাণ অল্প দিয়ে রাস্তার উপরে অধিক পরিমাণে বালু দেওয়া হয়েছে। রাস্তার কাজে নিম্ন মানের পাথর (পিপাথর) ও এক হপারে দুই টিন বিটুমিন দেওয়া নিয়ম থাকলেও এক থেকে দেড় টিন করে বিটুমিন মিশানোর অভিযোগ ও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এ রাস্তার কাজ তদারকিতে পত্নীতলা উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: ইমতিয়াজ জাহিরুল হক’র গাফিলতি এবং স্বজনপ্রীতি আছে বলেও অভিযোগ করেন।
হেড মিস্ত্রী সামাদ’র সঙ্গে পি পাথরের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, পি পাথর কম বেশি থাকবেই। এখানে যে নিম্ন মানের পাথর রাখা রয়েছে এটা দিয়ে কাজ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এই পাথর এখানে রাখা হয়েছে অন্য রাস্তার কাজের জন্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলজিইডির ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজশাহী বিভাগ উন্নয়ন প্রকল্প আইআরআই ডিপি-৩ অন্তর্ভুক্ত রাস্তা ও একটি ছোট কালভার্ট নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ ৭৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে- এজিং এ নিম্ন মানের ইট ব্যবহার, নিম্নমানের ইটের খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে সাব বেস ও ডব্লিউবিএম তৈরি করা। কমপেকশন কম হওয়ায় রাস্তা ফাটল ও কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হেমলেট কাছে রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার কাজে যে পাথর ও সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে তা ভালো মানের আপনি গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
এলজিইডির পত্নীতলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ জাহিরুল হক বলেন, কাজ আমি নিজে দেখে আসছি সবকিছু ঠিক আছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, আমি হোয়াটসঅ্যাপে আপনার পাঠানো রাস্তার ছবিগুলো দেখেছি আমি ওখানে লোক পাঠাবো।