নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। আজ বুধবার (৫ জুন) দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির ভবনে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মোদি। খবর এনডিটিভির।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শরিক দলগুলো বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সঙ্গে থেকে সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আজ পদত্যাগ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী শনিবার তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের বলিষ্ঠ নেতা জওহরলাল নেহরুর পর তৃতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়া সরকার প্রধান হবেন তিনি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২৮২ আসনে জয়ী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ২০১৯ সালে আসন পায় ৩০৩টি। আর এবারের নির্বাচনে দলটি পেয়েছে ২৪০টি আসন যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চাইতে ৩২টি কম। তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স (এনডিএ) মিত্ররা জয়ী হয়েছে আরও ৫৩টি আসনে।
নরেন্দ্র মোদি তার লোকসভার আসন উত্তর প্রদেশের বারানসি থেকে কংগ্রেসের অজয় রায়কে দেড় লাখেরও কম ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ জুন) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের এই ফলাফলকে বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের জন্য বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদি নিশ্চিত করেছিলেন যে, এনডিএ আবারও কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০টি আসন পাওয়ার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য স্থির করেছিল। পাশাপাশি এই লক্ষ্য এনডিএ’র জন্য ধরা হয়েছিল চারশর বেশি। তবে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া জোট’ চমক দেখিয়ে ২৩২টি আসনে জয়লাভ করে।
গতকাল মঙ্গলবার উৎফুল্ল বিজেপি সমর্থকদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের জনগণ এনডিএ’র প্রতি তাদের আস্থা ধরে রেখেছে। এই নির্বাচনে কিংমেকার হিসেবে আবির্ভূত তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু ও জনতা দলের নেতা নীতিশ কুমারের অবস্থানকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভায় নাইডুর দলের রয়েছে ১৬টি আসন আর নীতিশ কুমারের দলের রয়েছে ১২টি আসন।