পাবনায় মোটরসাইকেল-করিমনের সাথে সংর্ঘষে একে একে ৩ বন্ধুরই মারা গেছেন


পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের সঙ্গে করিমনের (ইঞ্জিনচালিত ভ্যান) সংঘর্ষের ঘটনায় টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিউটিটের তিন বন্ধুই মারা গেছেন। বন্ধু মিতুল হোসেন (১৫) ও  সিয়াম সরদারের (১৫) পর এবার চলে গেল বিশাল হোসেন (১৫)।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিশাল হোসেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি গ্রামের বাচ্চু হোসেনের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে সরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ১০ম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল।
পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মধ্যে মিতুল হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সিয়াম সরদার ও বিশাল হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে সিয়াম সরদার মারা যায়। সে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশাল হোসেনও মারা যায়।