পাবনায় এইচআইভি-এইডস প্রতিরোধে লাইট হাউসের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা


আর কে আকাশ : লাইট হাউস ‘প্রায়োরাটাইজড এইচআইভি প্রিভেনশন সার্ভিসেস এ্যামং কী পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ বিষয়ক সেনসিটাইজেশান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে উক্ত সেনসিটাইজেশান সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পাবনা জেলা সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল’র সভাপতিত্বে ও লাইট হাউস পাবনার ড্রপ-ইন সেন্টার ইনচার্জ কাজী জাকির হায়দার এর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে এইচআইভি/এইডস এর ঝুঁকি রয়েছে। এমএসএম ও হিজড়াদের মধ্যে এইচআইভি/এইডস ঝুঁকি হ্রাস করা এবং তাদের মানবাধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের সহায়তা প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বলেন, লাইট হাউস সমাজের অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করছে, যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি সমাজের সকল শ্রেণির পেশাজীবিদের লাইট হাউস এর কার্যক্রমকে সহযোগীতা করার আহবান জানান। এধরনের ঝুকিপূর্ন কাজ করার জন্য তিনি লাইট হাউস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সভায় লাইট হাউস পাবনার ড্রপ-ইন সেন্টার ইনচার্জ কাজী জাকির হায়দার লাইট হাউসের পরিচিতি, কার্যক্রম এবং অর্জনগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে লাইট হাউস পাবনাসহ ১৮ জেলার কার্যক্রম এবং এর মাধ্যমে ঝুকিপূর্ন এমএসএম ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি/এইডস ঝুঁকি হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবা, যৌনরোগের চিকিৎসা, এইচআইভি পরীক্ষা এবং এইচআইভি/এইডস তথ্যসেবার চিত্র উপস্থাপন করেন।

আলোচনাসভায় এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইমাম, গণমাধ্যম কর্মী, আইনজীবি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ কিভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় এইচআইভি/এইডস ছড়ানোর ক্ষেত্রে ঝুকিপূর্ন জনগোষ্ঠী এমএসএম ও হিজড়াদের সচেতনতা বৃদ্ধিও পাশাপাশি তাদের বিকল্প পেশার উৎস তৈরী করার জন্য আহবান জানানো হয়।

এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইমাম, গণমাধ্যম কর্মী, আইনজীবি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।