
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একসময় এলাকার ভবঘুরে যুবকদের পাশাপাশি একশ্রেণির স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা শখের বশে বাসা-বাড়িতে আ্যন্ড্রয়েড ফোনে লুডু খেলতো। কিন্তু বর্তমানে ওই সব ভবঘুরে যুবক এবং শিক্ষার্থী টাকা দিয়ে জুয়ার মতো আ্যন্ড্রয়েড ফোনে লুডু খেলছে।
উপজেলার নাজিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের একজন ব্যবসায়ী জানান, ওই সব ভবঘুরে যুবক এবং শিক্ষার্থী উপজেলার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে, বাড়ির আশেপাশের বাগানে এবং বৈঠকখানায় বসে আ্যন্ড্রয়েড ফোনে টাকা দিয়ে লুডু খেলে। তারা ১০০ টাকা থেকে শুরু করে মোটা অংকের টাকা বাজি ধরে মোবাইল ফোনে লুডু খেলে থাকে।
বিশেষ করে আ্যন্ড্রয়েড ফোনে টাকা দিয়ে লুডু খেলার বিষয়টি সুজানগর থানা পুলিশের নজরে না আসার সুযোগে তারা কখনও রাতে আবার কখনও দিনেও খেলে থাকে।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, টাকা দিয়ে লুডু খেলার কারণে উপজেলার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। বিশেষ করে তারা খেলার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে চুরিসহ আইনের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে আটঘরিয়ার উপজেলার দেবোত্তর বাজার, আটঘরিয়া বাজার, একদন্ত বাজার, গোড়রী বাজার, চাঁদভা বাজার, সহ বিভিন্ন ছোটবড় বাজারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লুডু খেলায় জুয়া চলছে। ফলে বাজারে ও এলাকায় চুরি ডাকাতি ছিনতাই বেড়েই চলেছে।
তবে এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাই না। তবে সচেতন মহল বলছে পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মোবাইলে লুডু’ র জুয়া খেলা বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন বলেছেন, ‘জুয়া খেলা যেভাবেই হোক না কেন, সেটা অপরাধ। কাজেই জুয়াড়িদের ধরতে পুলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’