
নিহত স্কুলছাত্রী উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের খান জাহান আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় বিবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, উর্মি প্রতিদিন সকালে প্রাইভেট পড়তে ভাঙ্গুড়া বাজারে যেত। বুধবার পড়া শেষে সে রেললাইনের পাশের বাগানে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ কারো সঙ্গে কথা বলছিল। পরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ সে ট্রেন আসলে ঝাঁপ দেয়। এতে তার শরীর দ্বিখন্ডিত হয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি রেললাইনে বসে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ রাগান্বিত হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। হয়তো মেয়েটি প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেট পড়ার কথা বলে সকালে বাড়ি থেকে বের হয় উর্মি। পরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। অভিমান থেকে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনা তদন্ত করবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন বলেন, ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি আমরা জেনেছি। মরদেহ উদ্ধারের জন্য ফোর্স পাঠানো হয়েছে। কী কারণে সে এমন কাজ করল সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব।