পায়ে জুতা কুড়িগ্রামের রৌমারী শহীদ মিনারে ফটোসেশন করায় জনমনে ক্ষোভ


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:  কুড়িগ্রামের রৌমারী একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পরিদর্শন দল জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে ফটোসেশন করেছে। এতে শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চ্যা লের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালের দিকে উপজেলা শহীদ মিনারে।

 

 আমার বাড়ি আমার খামার অফিস সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ৬ সদস্যের একটি পরিদর্শন দ

ল রৌমারীর আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প ও পল্লী  স য় ব্যাংকের মাঠ পর্যায় লেনদেন ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে নীলফামারী থেকে আসা কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারি সিরাজ উদ্দিন ও শেরপুর থেকে আসা উপজেলা সমন্বয়কারি হরে কৃ সহ ৬ জন ও রৌমারী উপজেলার সমন্বয়কারি শাহিনুর ইসলাম ও মাঠকর্মীসহ ১৬ জনের একটি দল শহীদ মিনারে যায়। পরে তারা জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারের ছবি উঠে এবং সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট দেয়। মুহুর্তে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে চ্যা লের সৃষ্টি হয়।

 

এ ঘটনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তীব্র প্রতিবাদ জানান।  এব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, জেলা সমন্বয়কারি একজন বড় অফিসার হয়ে কিভাবে জুতা পায় দিয়ে শহীদ মিনারে ওঠে। এটা মোটেই ঠিক করেননি ওই কর্মকর্তা। আমি এ ঘটনায় ধিক্কার জানাই।

উপজেলা সমন্বয়কারি (ভার:) আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প শাহিনুর ইসলাম বলেন, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দিয়ে ছবি ওঠার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন বিষয়টি বুঝতে পারিনি ভুল হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারি রুবাইয়া খাতুন বলেন, এ রকম ঘটনা যদি ঘটে থাকে তা নিশ্চয় অসম্মানজন হয়েছে। আমিও তা পছন্দ করি না। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প ও পল্লী স য় ব্যাংকের ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার প্রধান ও নীলফামারী জেলা সমন্বয়কারি সিরাজ উদ্দিন ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ছিলাম।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও  নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। খোঁজনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।