পুঠিয়ায় পুকুর খননের স্থানে মোটরসাইকেল ও ভাটার ভেকু মেশিন ভেঙ্গে ব্যাটারী খুলে নেওয়ার অভিযোগ


সালাউদ্দিন সরকার: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশ কর্তৃক রাতের আধারে পুকুর খননের স্থানে একটি মোটরসাইকেল এবং ভাটায় ব্যবহৃত স্কেভিটোর (ভেকু) মেশিন ভেঙ্গে ব্যাটারী খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া এলাকায় হক ভাটার পার্শ্বে মোস্তাক নামে একজন ব্যক্তি একটি পুকুর খনন এবং তার পার্শ্বে হাবিব নামের ব্যক্তির প্রায় দেড় থেকে দুইশত বিঘা জমির পাড়ি বাধার কাজ চলছে। ঘটনার আগের দিন হক ভাটাতে রাখা আরেকটি ভেকু মেশিন সেটি রাস্তা বাধার কাজ করছিলো বলে তারা জানান।

মেসার্স হক বিকস্ এর ম্যানেজার সুমন জানান, প্রথমে ৩ জন লোক আসলো। জিজ্ঞাসা করলো এই গাড়িটা কার। আমি বললাম এইটা ভাটার মাটি টানার কাজে ব্যবহার করা গাড়ী। বলে যে এই গাড়ি দিয়ে অন্য জায়গায় কাজ করা হচ্ছে। বলে হাতুড়ি দিয়ে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে ব্যাটারী খুলে নিয়ে চলে যায়।

তাদের মধ্যে নাকি একজন সার্কেল অফিসার ছিলেন তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে কেন গাড়ি ভাংচুর করছেন। তিনি বলেন এই গাড়ি দিয়ে পুকুর খনন করা হয়েছে। তখন আমি বলি ভাটার মালিকের সাথে কথা বলেন। তখন তিনি বলেন আমি কোন বড় লোকের সাথে কথা বলি না। গাড়ি থেকে ব্যাটারী খুলে নিয়ে চলে গেল।

গোবিন্দপাড়া গ্রামের একজন কৃষক আতাউর রহমান দুলাল জানান, আমি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হই। মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে দিয়ে যে রাস্তা আছে সেই রাস্তায় নতুন করে মাটি কাটা হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে না পেরে মাঠ দিয়ে নেমে উত্তর পাড়ায় একজনের সাথে প্রয়োজন ছিলো সেখানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে মোটরসাইকেল সেখানে রাখি। আমি জানতে পারি পুলিশ এসেছে।

তখন আমি সেখানে যায় গিয়ে দেখি ভেকু ভাংচুর করে চলে গেছে। তখন আমি ফিরে এসে দেখি আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। আমি পরবর্তীতে সার্কেল অফিসারের কাছে গিয়ে বলি যে আমি ভাটা ব্যবসায়ী বা পুকুর খননকারী না।

তাহলে আমার মোটরসাইকেল কেন ভাংচুর করা হলো। তখন সার্কেল অফিসার বলে আমি আপনার গাড়ী ভেঙ্গেছি, আপনি এখান থেকে চলে যান। তবে বিচারের দাবীতে আমি আগামী রবিবার আদালতে মামলা করতে চায়।

পুঠিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম জানান, আমরা সেই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পুকুর খননের স্থানে খননকারী ছাড়া কেউ ছিলো না। কিন্তু সেখানে পুকুর খননকারীর মোটরসাইকেল থাকায় এই ঘটনা ঘটে। আর পুকুর খননকারী স্কেভিটর (ভেকু মেশিন) আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে হক ভাটায় নিয়ে গিয়ে রাখে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে সেই ভেকু মেশিন এর সাথে ভাটার ভেকু মেশিনের ব্যাটারী খুলে আনি। পুকুর খনন যাতে না হয় সেক্ষেত্রে আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, পুলিশ অভিযান চালাতে পারে। কিন্তু কেউ যদি পুকুর খননের সাথে জড়িত না থাকে তার গাড়ী ভাংচুর করা একটি দুঃখ জনক ঘটনা।