পুঠিয়ার ভরুয়াপাড়ায় সরকারী রাস্তা, মসজিদ এবং গোরস্থানের জায়গা জবর দখলের অভিযোগ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়ার বেলপুকুর ভরুয়াপাড়া বাজার থেকে সরুপনগর সরকারী রাস্তা, মসজিদ এবং গোরস্থানের জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।

ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায়, পুঠিয়ার বেলপুকুর ভরুয়াপাড়া বাজার থেকে সরুপনগর গ্রামে যাতয়াতের সরকারী রাস্তা, মসজিদ, গরীব মানুষের কিছু জায়গা সহ গোরস্তানের জায়গা আক্কাছ আলী নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।

গ্রামের মধ্যে পুকুর হওয়ায় ইতিমধ্যে আবার খনন করায় পুকুরের পাড়ের গরীব মানুষের কয়েকটি বাড়ীর পাশ্বের জায়গা, যাতয়াতের পাকা রাস্তা এবং গোরস্থানের জায়গা ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে নেমে যাচ্ছে। এলাকাবাসী তার ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

অপরদিকে মসজিদের জায়গায় পানি উঠে বাউন্ডরী ওয়াল ও ফেটে গেছে। বিষয়টি পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এলাবাসী স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভরুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে মোঃ আক্কাছ আলী সরকারের একটি পুকুর আছে।

কিন্তু তার পুকুরের পাড় নাই। তিনি তার পুকুরে মাছ চাষের সুবিধার্থে পুকুরের দক্ষিন পার্শ্বে জনগনের ব্যবহার্য্য সরকারী পাকা রাস্তা ড্রেজার দ্বারা মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রয় করে দেন এবং পকুরের কাদা মাটি তুলে রাস্তায় দেয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই সরকারী রাস্তার মাটি ধসে পুকুরে নেমে যায়। ফলে উক্ত রাস্তা দিয়ে স্থানীয় জনগনের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।

এছাড়া পুকুরের চারপাশ ও কবরস্থান ভেঙ্গে পুকুর গর্ভে চলে যায়। ফলে পুকুর পাড়ের চারপার্শ্বে বসবাসরত গরিব দুঃখী সাধারণ মানুষ মারাত্মক অসুবিধায় পড়ছে। এত কিছু অসুবিধার পরেও আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে আক্কাছ আলী মোবাইল ফোনে জানান, আপনাকে আমাদের এখানে আসতে কে বলেছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহবকে বলেছি, আমাদের এই রাস্তাটা করে দেওয়ার জন্য।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, বিষয়টি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সেই পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।