পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় একটি ক্লিনিকে অপারেশনের পর এক মহিলা রোগী গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া নলপুকুরিয়া গ্রামের হেমায়েত আলীর মেয়ে মোছাঃ মীম (১৮) এর এই ঘটনা ঘটে।
রোগী মোছাঃ মীম জানান, আমাকে অপারেশন রুমে ঢুকিয়ে অজ্ঞানের ইনঞ্জেকশন দিয়েই অপারেশন করতে শুরু করে। এ সময় ডাক্তার আমার নাড়ি ধরে টান দেয়। সে সময় আমার প্রচন্ড ব্যাথা লাগে এরপর থেকে আমার হাত পা অবস হয়ে জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়। বিষয়টি তাদেরকে বললে তারা শুধু ঘুমের ইনঞ্জেকশন দেয়। তিন দিন ক্লিনিকে ছিলাম আমকে শুধু ঘুমের ইনঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। যে দিন বাড়িতে আনে, আনা মাত্রই ৫ মিনিটির মধ্যে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সবাই কান্না কাটি শুরু করে। সে সময় আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
রোগীর পিতা হেমায়েত আলী জানান, আমার মেয়ে মোছাঃ মীম অসুস্থ্য হওয়ায় গত মঙ্গল বার (১লা নভেম্বর) পুঠিয়ায় অবস্থিত নিউ জনসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করি। এরপর অনুমানিক বিকেল ৫ টার দিকে এ্যাপেনডিসাইড এর অপারেশন করেন। সে সময় থেকে আমার মেয়ের অবস জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়। ক্লিনিকের সবাই বলে উপরা রোগ হয়েছে ঝাঁরা ফু দিলে ভালো হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলে তখন আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে পৌছাতে গিয়ে তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। সে সময় আমরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। এতে আমাদের ব্যাপক টাকা খরচ হয়।
নিউ জনসেবা ক্লিনিকের মালিক বুলবুল হোসেন জানান, সেই রোগী আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছিলো। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ডাঃ সুব্রত ঘোষ অপারেশন করেন। এরপর ছুটি দেওয়া হয়েছে তারা রোগীকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছে। তাদেরকে বলা আছে কোন সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে। ডাক্তার সুব্রত ঘোষের নম্বর টা চাইলে তিনি বলেন পরে দিচ্ছি। আর নিউজটা করেন না।
এ ব্যাপারে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।