পুঠিয়ায় পানের বরজ ও আম গাছ কেটে জমি জবর দখলের অভিযোগ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় জমির পানের বরজ ও আম গাছ কেটে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বুধবার সকালে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সমশের ও আকবর আলী জানান, জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামের কিছু সুবিদাবাদী লোক তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দুই পরিবার কে এক ঘরে করে রাখে। শুধু তাই নয় গ্রামের কেউ তাদের দুই পরিবারের সাথে কথা বললে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার ঘোষণা দেয়। তাই সেই গ্রামের কেউ তাদের সাথে কথা বলতে সাহস পাইনা।

শুধু তাই নয় দলিল উদ্দিন, শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে। এতে আমরা আতংকিত ভাবে জীবন যাপন করছি। বিষয়টি প্রাশাসনের দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সমশের আলী ফকির ও আকবর আলী ফকির দুই ভাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তপুর থানার বড়গাছি গ্রামের কাদের শাহ ও কায়েম উদ্দিনের ওয়ারিশ গনের নিকট থেকে প্রায় ১৫ টি দলিলের মাধ্যমে কৃষি জমি, ভিটা, মসজিদ, ঈদগাঁও এবং কবরস্থান শ্রেণীর জমি ক্রয় করেন।

ততকালীন সময় থেকে সেই জমি গুলো দুই ভাই ভোগ দখল এবং খাজনা পরিশোধ করে আসছে। জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রেকর্ড কৃত মসজিদের নামে ৫০১ দাগের ৫ শতক জমির পরিবর্তে ১৯৯৫ সালে ৩৯৭৭ নম্বর দলিলের মাধ্যমে সমশের ও আকবর দুই জনে ৪৪২/৭৪২ দাগে ৫ শতক জমি মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। এছাড়া ঈদগাঁয়ের নামে যে জমি রয়েছে সেই জমিতে বর্তমানে মসজিদ ভবন রয়েছে।

রামকৃষ্ণপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ শাহিন জানান, আরএস রের্কড অনুযায়ী ৪৯৮ দাগে কবরস্থান নামে ১৪ শতক, ৪৯৪ দাগে ঈদগাঁও এর নামে ৫ শতক এবং ৫০১ দাগে মসজিদের নামে ৫ শতক জমি রয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী কয়েকবার গ্রাম্য শালিশে তাদেরকে ডাকা হয়েছে, তারা আসেননি। তাই সেই জমি এলাকাবাসী সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে।

ভালুকগাছী ইউপি চেয়রম্যান তাকবীর হাসান জানান, এ বিষয়ে সমশের আলী ওরফে শামছুল হক আমার ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। কিন্তু বিবাদী শাহিনেরা উপস্থিত হয় না। তবে উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে বলা হয়েছে। যা পরবর্তীতে বসে সমধান করার কথা রয়েছে। আর জমি দখল করে গাছ কেটে ফেলেছে যা, দুঃখ জনক ঘটনা।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন আসার পর থানার অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।