পুলিশের বিরুদ্ধে ‘মানহানি ও হয়রানির’ অভিযোগ লায়লা নাঈমের


বিনোদন ডেস্ক: আলোচিত ও বিতর্কিত মডেল-অভিনেত্রী লায়লা নাঈম পুলিশি হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘পুরো শহর ভবনে ঢেকে যাওয়ায় কুকুর ও বিড়ালদের জন্য ঘুরে বেড়ানোর স্থান ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তাই আমি ১০-১২ বছর ধরে তাদের যত্ন নেয়ার চেষ্টা করছি। তবে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য আমাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিবেশীরা আমার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশ অধিদফতরে অভিযোগ করছেন।’

এসব বিড়াল ফেলে দেয়ার জন্য পুলিশের চাপের কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন লায়লা।

গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর রেড অর্কিড রেস্তোরাঁ ও পার্টি সেন্টারে পুলিশ কর্তৃক মানহানি ও মানসিক হয়রানির বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসব বিড়াল-কুকুর নিয়ে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করলেও প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা সরেজমিন ঘুরে প্রশংসা করেছেন বলেও জানান লায়লা নাঈম।

তিনি বলেন, ‘বিড়ালগুলো ফেলে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে পুলিশ। আমাকে মানসিকভাবে হয়রানি করছে। অথচ পুলিশের উচিত ছিল আমাকে সহযোগিতা করা।’

তার বাসায় ৫০০টি বিড়াল রয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ‘সঠিক নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মাত্র ১২ থেকে ১৪টি বিড়াল রয়েছে, যেগুলো অসুস্থ। আমি তাদের ভালো খাবার পরিবেশন করি ও চিকিৎসা দিই।’

এ বিষয়ে প্রাণী কল্যাণ কর্মী ফারজানা লিও বলেন, ‘বিড়াল ও কুকুরের বন্ধু লায়লা নাঈম এমন প্রতিবেশীদের শত্রু। প্রাণী লালন-পালন করা মানবিক কাজ, এটি অপরাধ নয়। এ কাজের জন্য সবার উচিত তার প্রশংসা করা।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এক আইনজীবী বলেন, ‘দেশের এমন কোনও আইন সম্পর্কে জানা নেই, যেখানে বিড়াল ও কুকুর পালন নিষিদ্ধ।’

রাজধানীর আফতাবনগরে নিজস্ব ফ্ল্যাটে অসংখ্য বিড়াল লালন-পালন করেন লায়লা নাঈম। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় বলে প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। এরইমধ্যে বাড্ডা থানায় এ নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগও করেছে ফ্ল্যাট মালিক সমিতি