পূর্ব শক্রুতার জের ধরে পৌরসভার করনির্ধারক বিমলের উপর হামলা মারপিট


তানোর প্রতিনিধি : তানোরে পূর্ব শুক্রুতার জের ধরে পৌরসভার করনির্ধারক বিমলের উপর দফায় দফায় মামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিমল চন্দ্র দাস বাদি হয়ে ৩জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শি ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার হিন্দুপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে নিতাই দাসের সাথে একই গ্রামের ক্ষুদিরামের ছেলে তানোর পৌরসভার করনির্ধারক বিমলের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিলো।

 

রোববার দুপুরে পৌর করনির্ধারক বিমল চন্দ্র দাস তার সহকর্মি কাজিম উদ্দিনকে নিয়ে তানোর পাল পাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এসময় হিন্দু পাড়া গ্রামের নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস (২৬) এসে বিমলকে গালাগালি করে এবং অতর্কিত ভাবে মাহলা চালিয়ে কিলঘুষি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয়।

 

এসময় চিৎকার চেচামেচিতে উপস্থিত লোকজন এসে সুমনের কবল থেকে বিমলকে উদ্ধার করেন। পরে বিকাল ৫টার দিকে নিতাই তার দুই ছেলে সুমন ও কিরনকে সাথে নিয়ে বিমলের বাড়ির সামনে এসে বিমলকে গালাগালি করতে থাকে এসময় বিমল বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাদেরকে গালাগালি করতে নিষেধ করেন।

 

এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে  নিতাই ও তার দুই ছেলে বিমলের বাড়ির গেটের সামনে বিমলের উপর হামলা হালিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা কালশিরা ফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। পরে লোকজন ও তানোর থানা পুলিশ এসে বিমলকে উদ্ধার করে একটি তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় বিমল বাদি হয়ে নিতাইসহ ৩জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এনিয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত নিতাই চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি না হয়ে এড়িয়ে যান।

 

এবিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, বাড়ির জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দের জেরে মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে  আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।