ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা এবং তা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা জানান। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব সময়ই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে এসেছি- গাজা ফিলিস্তিনি ভূমি এবং তা ফিলিস্তিনি ভূমি থাকবে। হামাস আর ভবিষ্যতে এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে সক্ষম হবে না। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি থাকবে এবং বিশ্বের স্বার্থে আমরা এটাই চাই।
এ ছাড়া গাজা ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে চলে যাওয়া এবং উপত্যকায় নতুন ইসরায়েলি বসতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ম্যাথিউ মিলার ওই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
এদিন তাদের বক্তব্যকে ‘প্রদাহজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যা দেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীসহ ইসরায়েল সরকার বারবার এবং ধারাবাহিকভাবে বলেছে যে এই ধরনের বিবৃতি ইসরায়েল সরকারের নীতিকে প্রতিফলিত করে না। তাদের এ ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ইসরায়েল একতরফাভাবে গাজা থেকে তাদের সর্বশেষ সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেয়। এর মধ্য দিয়ে ১৯৬৭ সাল থেকে তাদের দীর্ঘ অবস্থানের অবসান হয়। তবে সেনা সরিয়ে নিলেও গাজা সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে থেকে যায়। তবে গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল সরকার গাজার মানুষদের উৎখাত কিংবা উপত্যকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
গাজার জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে সেখানকার ৮৫ শতাংশ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।