ফেডারেশনগুলোকে তিন বছরের সময় দিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী


নাজমুল হাসান পাপন এখন শুধু ক্রিকেটের নন, পুরো ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক তিনি। বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) প্রথম অফিস করেন তিনি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে পরে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যান। সেখানে নবনির্বাচিত মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রায় ৫৪টি ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা। ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ফেডারেশনের কর্তাসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন ক্রীড়াঙ্গনের নতুন অভিভাবক।

নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাকে প্রথমে সবগুলো ফেডারেশনের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। সব খেলা তো আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবে না। এমন অনেকগুলো ফেডারেশন আছে, যারা ইতোমধ্যে ভালো। তবে, তাদের আর্থিক সমস্যা আছে। তারা আমার সঙ্গে বসে আমাকে একটা লক্ষ্য দেবে, বাজেট দেবে। আমি তিন বছর সময় দিব তাদের। যেন অগ্রগতি দেখতে পারি।’

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, ’তারা আমাকে পাঁচ-সাত-দশ বছরের লক্ষ্যমাত্রা দিতেই পারে। তাই বলে আমি এত সময় দেওয়ার পক্ষে না। তিন বছর পর যদি দেখি তারা ভালো করছে, লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সামনের দিকে ভাবব। লক্ষ্যপূরণ করতে না পারলেও যে ফাইন্যান্স করা বন্ধ হবে তেমনটি নয়, তখন যারা উন্নতির দিকে যাচ্ছে সেদিকে বাড়তি নজর দেব।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) যে পরিমাণ স্পন্সর, দেশের অন্য খেলায় তেমন নেই। এ বিষয়ে পাপন বলেন, আমি বিসিবিতে যতটা দেখেছি আমাদের দেশে স্পন্সরের অভাব নেই। তারা চায় যেখানে বিনিয়োগ করছে সেখান থেকে কী পাচ্ছে। ফেডারেশনগুলোকে এটি বুঝতে হবে। সব সময় সরকার দেবে, এমনটা আশা না করে স্পন্সরের ব্যবস্থা করতে হবে।’

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এই আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে, এবারই প্রথম পেলেন মন্ত্রীর দায়িত্ব। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ নেন পাপন। বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।