পুরুষদের টেনিসে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের রেকর্ডটা এতদিন সুইস তারকা রজার ফেদেরারের একারই দখলে ছিল। এবার তাতেও ভাগ বসালেন স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদাল। দুজনেরই ঝুলিতে এখন সমান ২০টি করে গ্র্যান্ডস্লাম। রবিবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচকে ৬-০, ৬-২, ৭-৫ গেমে হারান স্প্যানিশ মহাতারকা। এটা রোলাঁ গারোয় তার রেকর্ড ১৩তম শিরোপা। ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করেন নাদাল। সেই থেকে এখানে মাত্র দুইবার তিনি হেরেছেন।
২০০৯ সালে রবিন সোডারলিংয়ের কাছে ও ২০১৫ সালে জোকোভিচের কাছে হেরেছেন। ২০১৬ সালে চোটের কারণে নাম প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়া প্রতিবারই তিনি রোলাঁ গারোঁয় সোনালী ট্রফিটায় চুমু খেয়েছেন। এবার ৩৪ বছর বয়সে এসেও হাসলেন।
‘মাটির কোর্টের রাজা’ বা ‘ক্লে কোর্টের রাজা’ খ্যাত নাদালের কাছে গতকাল দাঁড়াতেই পারেননি ৩৩ বছর বয়সী জোকোভিচ।
ম্যাচের পর নাদাল বলেন, ‘রোলাঁ গারো আমার কাছে সবকিছু। আমার টেনিস ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর অধিকাংশই এখানে কাটিয়েছি আমি, এ নিয়ে কোনো সংশয়ই নেই। আমার কাছে এখানে খেলাটাই একটা বড় প্রেরণা। এই শহ, এই কোর্টের সঙ্গে আমার যে ভালোবাসার গল্প, সেটা কখনো ভোলা যাবে না। সবাইকে সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।’
বন্ধু ফেদেরারের ইতিহাস ছোঁয়ার ক্ষণেও সেই রোমাঞ্চের চেয়ে রোলাঁ গারোর প্রতি ভালোবাসাই বেশি থাকল তাঁর কণ্ঠে, ‘অনেক কঠিন একটা বছর গেছে। এখানে জেতাটা আমার কাছে অনেক কিছু। সত্যি বলতে আমি আজ ২০-এর (২০তম গ্র্যান্ড স্লাম) কথা বা দারুণ এই সংখ্যাটায় রজারকে ছোঁয়ার কথা ভাবিনি। আমার কাছে আজকের দিনটা শুধুই রোলাঁ গারোতে আরেকটা শিরোপা জয়ের।’
ম্যাচ শেষে হাসতে হাসতে শাশ্বত সত্যিটাই আরেকবার বললেন জোকোভিচ, ‘তুমি দেখিয়েছ, তুমি কেন মাটির কোর্টের রাজা’। তবে এভাবে হেরেও অত বেশি আক্ষেপ নেই জোকোভিচের, ‘আমার জন্য আজ ম্যাচটা অনেক কঠিন ছিল। অবশ্যই যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি খুব একটা খুশি নই। তবে আমি অবশ্যই আজ কোর্টে অনেক ভালো একজন খেলোয়াড়ের কাছেই হেরেছি।’