বগুড়ায় মোটরসাইকেল সিটে ৯ কেজি গাঁজা ও ট্রায়ার থেকে ১৩৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার


দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: দেশে যখন করোনা আতঙ্কে মানুষ যখন গৃহবন্দি। তখন সেই সুযোগে মাদক চোরাকারবারিরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে নিচ্ছে নয় কৌশল। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে প্রায় ৯ কেজি গাঁজা দিয়ে বানিয়েছে মোটরসাইকেলের সিট কভার। অপরদিকে ট্রাকের চাকার ট্রায়ারের মধ্যে অভিনব কৌশলে ১৩৪ বোতল ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল সুরক্ষিত করে বিক্রির জন্য গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিধিবাম!

গাঁজা দিয়ে বানানো সেই সিটে বসে মোটরসাইকেল চালিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া শহরে গাঁজা সরবরাহ করতে যাচ্ছিলেন সাঈদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু বগুড়া শহরে পৌছার পূর্বেই শুক্রবার (১ মে) বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার মোকামতলায় চেকপোস্টে আটক করে পুলিশ। আটক সাঈদ গাইবান্ধা সদর থানার নয়নপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
জানাগেছে, গাঁজা দিয়ে বানানো সেই সিটে বসে মোটরসাইকেল (কুড়িগ্রাম -হ-১২-৪০৮৪) চালিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে মোকামতলা বন্দর চেকপোস্টে থামানোর সংকেত দেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই আশুতোষ মৈত্র এবং এটিএসআই আহম্মদ আলী।

সন্দেহাতীত হয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করার সময়ে অন্যান্য মোটরসাইকেলের তুলনায় এই মোটরসাইকেলের সিট অস্বাভাবিক উঁচু বলে পুলিশের নজরে আসে । এরপর সিট খুলে তার দেখতে পান, সিটের নিচে বিপুল পরিমাণ গাঁজা। শুধু তাই নয় মোটরসাইকেলের সিটও ফোমের পরিবর্তে গাঁজা দিয়ে বানানো। ওই মোটরসাইকেল থেকে ৮ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয় করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে মোকামতলা ট্রাফিক ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউল করিম খান বলেন, সূক্ষ্মভাবে না দেখলে বোঝার উপায় নাই পুরো সিট ফোমের পরিবর্তে গাঁজা দিয়ে বানানো হয়েছে। লাল পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে কালো সিট কভার দিয়ে ঢেকে রাখায় সহজে কারো সন্দেহ হবে না। তবে আটককৃত সাঈদকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী এলাকা থেকে ট্রাকের চাকার ট্রায়ারের মধ্য থেকে ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ১৩৪ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

শেরপুর থানা পুলিশ জানান, ঢাকাগামী একটি পণ্য বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে থাকা একটি অতিরিক্ত চাকা মহাসড়কে খুলে পড়ে। মহাসড়কে সেসময় টহলরত পুলিশ ডিউটিতে থাকায় অজ্ঞাতনামা ঐ ট্রাকটি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত চলে যায়। পুলিশ রাস্তায় পরে থাকা চাকাটি উদ্ধার করতে গিয়ে সেখানে তারা টায়ারের কিছু অংশ কাটা লক্ষ্য করে, পরে সেই চাকার ট্রায়ারটি কাটলে ফেন্সিডিলের বোতল দেখতে পায়। এসময় চাকাটির ট্রায়ারের মধ্য থেকে ১শ ৩৪ বোতল ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় বলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান।