৪ জুলাই শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা-উচরং আ লিক সড়কের ভঙ্গুরদশা ৩টি অংশের মধ্যে খন্দকারটোলা-মাজারগেট, বাংলালিংক টাওয়ার- প্রাথমিক বিদ্যালয়-ফজলুর মোড় এলাকার প্রায় সাড়ে ৮’শ মিটার সড়কটি সংস্কারে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে কয়েকজন শ্রমিক। তবে এ সড়ক সংস্কারে সচেতন এলাকাবাসীদের মধ্যে নূরুল ইসলামকে আহবায়ক ও খন্দকার ওসমান গনিকে সদস্য সচিব করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সড়ক সংস্কার কমিটির অন্যতম সদস্য আবদুল ওহাব বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা চেয়েছেন। কিন্তু সহযোগিতা না পেয়ে গ্রামের মানুষজন এই সংস্কারের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা চাঁদা তুলে তহবিল সংগ্রহ করে গত বুধবার থেকে এই সংস্কারকাজ শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন নারী বলেন, তাদের বাড়ির কোনো নারী অসুস্থ হলে তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া সম্ভব হয় না।
সড়কে নিয়মিত চলাচল করা কয়েকটি যানবাহনের চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, সড়কের দুর্ভোগ রোধে তাঁরাও সড়ক সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন। এতে সড়কে চলতে গিয়ে তাঁদের যানবাহনের যন্ত্রাংশগুলো বিকল হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
ওই সড়ক সংস্কারকাজে নিয়োজিত শ্রমিক খাদেমুল ইসলাম বলেন, সড়কটির অন্তত সাড়ে ৮’ শ মিটার সংস্কার করা হবে। সড়কের এই অংশে বিগত সময়ের পিচপাথরের পাকা উঠে গর্ত হয়ে রয়েছে। গর্তের গভীরতা প্রায় ৫ থেকে ১৮ ইি । এই স্থানে সামান্য বৃষ্টির পানি জমেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই সড়কের অংশের দুই পাশে উঁচু করে ইটের দেয়াল তুলে অন্তত দেড় ফুট বালু ফেলা হচ্ছে। এরপর বালু ও ইটের খোয়ার মিশ্রণ রোলার মেশিন দিয়ে সমান করে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন বলেন, ছয় বছর ধরে সড়কটিতে যাতায়াত নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন গ্রামবাসী। সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। সড়কের খানাখন্দকের সংস্কার নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, এই সড়কটি এলজিইডি দপ্তরে অধীনে। সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার সংস্কার দরকার। এ জন্য ব্যয় হবে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন না আসায় সংস্কার করাও সম্ভব হচ্ছে না।