বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় পছন্দের ইমাম দিয়ে নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্রকরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলা-গুলিতে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয় । তিন জনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় পরে তাদের রামক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জবেদা বেগম নামের এক নারী বাদি হয়ে ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকাল বিকেলে উপজেলার করালি নওশারা পদ্মার চরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঈদের দিন উপজেলার পদ্মার কড়ালি নওশারা পদ্মার চরে পছন্দের ইমাম দিয়ে ঈদের নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে একই এলাকার গনি মন্ডল ও আলমগীর হোসেনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আলমগীর হোসেনের লোকজন গনি মন্ডলের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এই হামলায় গুলিতে ৫ জনসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
গুলিতে আহতরা হলেন, লালু মন্ডলের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩০), আবদুল মান্নানের ছেলে আলিফ হোসেন (২০), মৃত আবদুস সালামের ছেলে শাকিল হোসেন (১৯), মৃত আজহার আলীর ছেলে মহিকারী আলী (৭০)। এছাড়া অন্য হামলায় আহতরা হলেন- আবেদ আলী প্রামাণিকের ছেলে আলমঙ্গীর (৩৫), আহম্মেদ মন্ডলের ছেলে শরিফ হোসেন (৪০) ও জালাল হোসেন (৪৫), মৃত শমসের মন্ডলের ছেলে বেলাল হোসেন (৩৪), মৃত আকবর আলীর ছেলে টুটুল আহম্মদ (৩৫)। এদরে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। তবে তাদের মধ্যে গুলিতে আহত উজ্জল হোসেন, আলিফ হোসেন ও শাকিল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ঈদের দিনে নামজ পড়ানোকে কেন্দ্রকরে একই গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হয়। এক পক্ষের গণি মন্ডল ও অন্য পক্ষের আলমগীর হোসেন। গণি মন্ডলের লোকজন একই এলাকার আবুল কালামের বাড়িতে একটি আকিকার অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে আলমঙ্গীরের লোকজন গিয়ে তর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এসময় আলমঙ্গীরের ৫ জন আহত হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ইয়ার গানের গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জবেদা বেগম নামের এক নারী বাদি হয়ে ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।