বার্সা হৃদয়ে থাকবে : বিদায় বেলায় রাকিটিচ


বার্সেলোনার সঙ্গে ছয় বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন ইভান রাকিটিচ। গতকাল বুধবার ন্যু-ক্যাম্পে ছিল তাঁর আনুষ্ঠানিক বিদায়। এই বিদায় বেলায় আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন ক্রোয়াট তারকা। বার্সার ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন ক্লাবটির সঙ্গে সোনালি স্মৃতি। জানান, ন্যু-ক্যাম্প ছেড়ে গেলেও তাঁর হৃদয়ে সবসময় থাকবে বার্সেলোনা। এমনকি বার্সার বিপক্ষে গোল করলেও উদযাপন করবেন না এই মিডফিল্ডার।

২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত সেভিয়ায় ছিলেন রাকিটিচ। তাঁর নেতৃত্বে ইউরোপা লিগ জিতে ক্লাবটি। সে বছরই কাতালান শিবিরে যোগ দেন ক্রোয়াট তারকা। এবার ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ফের পুরোনো ক্লাব সেভিয়ায় যোগ দিলেন রাকিটিচ।

গতকাল বিদায় বেলায় বার্সেলোনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন রাকিটিচ। সেই সঙ্গে ক্লাবটির সভাপতিসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন এই মিডফিল্ডার। রাকিটিচ বলেন, ‘সেভিয়ার সঙ্গে আমার দারুণ একটা বন্ধন আছে। তবে এটা নিয়ে আমরা পরে কথা বলব। এখন আমি সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালোভাবে বার্সাকে বিদায় জানাতে চাই। বার্সার বিপক্ষে যদি কখনও গোল করি তাহলে, উদযাপন করব না। বার্সাকে আমি আমার হৃদয়ে ধারণ করব।’

বার্সায় স্মরণীয় মুহূর্ত নিয়ে জানতে চাইলে ক্রোয়াট তারকা বলেন, ‘একটি বাছাই করা কঠিন। ছয় মৌসুমে আমরা দারুণ সব মুহূর্ত কাটিয়েছি। তবে আমাকে যদি একটি বেছে নিতেই হয়, তাহলে বার্লিনের ফাইনালের কথা। এরপর জাপানে ক্লাব বিশ্বকাপ অর্জন। তবে প্রতিটা ট্রফি, প্রতিটি লিগ, প্রতিটা সুপার কাপ বিশেষ ছিল। আমরা যা অর্জন করেছি, এর জন্য আমি খুবই গর্বিত এবং আমি কে এবং কেমন খেলি, তা মেলে ধরতে পেরেও গর্বিত।’

রাকিটিচ আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, গত বছরের আগের বছর ছিল বার্সায় আমার সেরা সময়। ২০১৮-১৯ মৌসুমটা আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। তবে সবকিছু ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল লিভারপুলের কাছে হেরে। গত কয়েকটি মৌসুমে আমরা ২০১৫ সালের সাফল্যের পুনরাবৃত্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। কখনও কখনও ছোটখাটো বিষয় কিংবা একটু ভাগ্যের ছোঁয়া আমরা হাসব নাকি হাসব না এর মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল।’

বিদায়ক্ষণ নিয়ে রাকিটিচ বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে সতীর্থদের যখন বিদায় জানাতে গেলাম, তখনকার একটা দৃশ্য বিশেষভাবে আমার হৃদয়ে দাগ কেঁটেছে। যিনি রান্না করেন তাকে বা যখন মার্তাকে বিদায় জানাচ্ছিলাম, তখন তার চোখে অশ্রু দেখলাম-এর অর্থ আমার কাছে অনেক কিছু। সবসময় আমি চেয়েছি বিনয়ী, সাধারণ এবং ভালো একজন ভালো মানুষ হতে।’