রাজশাহী প্রতিনিধি: বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিডেট রাজশাহীর উদ্যোগে বিনামূল্যে জেলার পবা উপজেলার প্রায় ১’শ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৩ কেজি করে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ‘অ্যারাইজ এজেড ৭০০৬’ জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পবা উপজেলা চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা কৃষকদের মাঝে এই ধানের বীজ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বায়ার ক্রপসায়েন্স লি. রাজশাহীর রিজিনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ সঞ্জিত সরকার, টেরিটরি এক্সিকিউটিভ কৃষিবিদ হাফিজুর রহমান, পবা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তপন রায় প্রমুখ।
কৃষিবিদ সঞ্জিত সরকার বলেন, সারা বাংলাদেশে বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিডেট’র উদ্যোগে ১ লাখ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ১৫০ মেট্রিক টন উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান অ্যারাইজ এজেড ৭০০৬ জাতের ধানের বীজ বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পবা উপজেলার কৃষদের মাঝে এই ধান বীজ বিতরণ করা হলো। উচ্চফলনশীল এই ধান চাষের মাধ্যমে কৃষকরা এক বিঘা জমি থেকে ২৭ থেকে ২৮ মন ধান উৎপাদন করতে পারবেন।
অন্যান্য ধানের তুলনায় চাষ পদ্ধতি সহজ এবং অতিরিক্ত সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এই ধানের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অ্যারাইজ এজেড ৭০০৬’ আমন মৌসুমের সর্বোচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান। এটি পাতাপোড়া রোগ প্রতিরোধী, মধ্যম চিকন চাল এবং ধান ঝড়ে পড়ে না। ধানের চারা রোপনের ১০ দিন পর আকস্মিক বন্যায় ডুবে গেলে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ফসলের ক্ষতি হয় না। বীজ বপনের ১২০ থেকে ১২৫ দিনের মধ্যে ধান সংগ্রহ করা যায়।
টেরিটরি এক্সিকিউটিভ কৃষিবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিডেট’র উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান চাষের মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং দেশে খাদ্য সংকট দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি।#