বিএনপির এখন কী করণীয়, বললেন তথ্যমন্ত্রী


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে জনভিত্তি তৈরিতে ‘দল গোছানো’সহ নানা পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বিএনপির করণীয় প্রসঙ্গে দলটির নেতাদের উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘বিএনপিকে পরামর্শ দিবো আগে নিজেদের দলটা গোছান। নিজের কর্মীদের মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা, নেতাদের বিরুদ্ধে কর্মীদের যে বিক্ষোভ সেগুরো আগে সামলান। বিএনপি যখন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলছে তখন বিএনপির দলের ভেতরে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বাসায় ডিম ছুড়েছে তাদের নেতাকর্মীরা। উত্তরবঙ্গে যখন রিজভী আহমেদ সভা করতে গেছেন তাদের দুপক্ষ মারামারি করে সভা পণ্ড করে দিয়েছে।’

রবিবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে “রাজধানীতে চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ আলোকিত সাংবাদিক” স্মরণে আলোচনা সভা শেষ তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম (চবিসাফ)।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য ড. হাছান বলেন, ‘যারা নিজেদের দল সামলাতে পারে না, যারা নিজেদের কর্মীদের কাছে অপ্রিয়, তারা দেশের মানুষের কাছে কী করে প্রিয় হবে? তাদের এসমস্ত বুলি হচ্ছে ফাঁকা বুলি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আরেকটা কথা বলেছিলেন, ‘সরকারকে আর সময় দেয়া হবে না’। সরকারকে সময় দেয়ার মালিক জনগণ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা কোনও দিন সময় দিতে চাননি। কিন্তু জনগণ পরপর তিনবার শেখ হাসিনাকে সময় দিয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১২ ধরে ক্ষমতার আছেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় ডিম ছুঁড়েছে নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি গত নির্বাচনের সময় (২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন) ৩০০ আসনে ৯০০ নমিনেশন দিয়েছে। ৩০০ আসনে ৯০০ নমিনেশন দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশে অতীতে কখনও ঘটেনি, ভবিষ্যতেও ঘটবে কিনা সন্দেহ আছে।’

তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী এই ৯০০ নমিনেশন দেয়ার কারণ হচ্ছে, যার কাছ থেকে বেশি চাঁদা পাওয়া গেছে, তাকে নমিনেশন দেয়া হয়েছে। আবার সেই চাঁদা থেকে যে বেশি দিয়েছে আগের জনকে বাদ দিয়ে তাকে দেয়া হয়েছে। উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে গিয়ে নিশ্চয়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাই মনোনয়ন বঞ্চিতরা, পদ বঞ্চিতরা বিএনপির মহাসচিবের বাসায় এ হামলা করেছে।’

স্মরণ সভায় যে ৬ জন সাংবাদিককে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করা হয়, তারা হলেন মরহুম খোন্দকার মোজাম্মেল হক (গেদুচাচা), ডি.পি বড়ুয়া, ড.ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী, আবদুস শহিদ, আবুল কালাম, হুমায়ূন কবির খোকন। স্মরণ সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।

স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এবং ৬ সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।