ব্যক্তি মালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ভেঙে গেল করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথ



প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ব্যক্তি মালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথ। নৈশ্যপ্রহরী বলছেন, সকাল হয়তো কোন ভ্যান কিংবা গাড়ি ভেঙ্গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্যকর্তা বলছেন, কিভাবে ভেঙ্গেছে আমি জানি না তবে বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্থাপিত করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথটি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। বুথটির ইস্পাতের একঅংশে কোনকিছুর ধাক্কার চিহৃ রয়েছে। ওই ধাক্কার কারণেই বুথটির চারিদিকের প্লাষ্টিকের সুরক্ষা দেয়ালটি ভেঙ্গে গেছে।  এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে রয়েছে ৫-৭টি ব্যক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স। দিবারাত্রী ওই এ্যাম্বুলেন্সগুলো দাপটের সাথে অবস্থান করে থাকে সেখানে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স ঠিক মতো না চলায় রোগীর স্বজনদের কাছে অতিরিক্ত টাকায় করে চলছে ওইসব এ্যাম্বুলেন্সগুলো।

জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরের নতুন ও পুরোনো ভবনের মধ্যখানে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য বসানো হয়েছিল সুরক্ষিত বুথটি। কিন্তু গতকাল রবিবার সকালে দেখা যায় বুথটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিনসদস্যের তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গোপনসূত্রে জানা যায়, ‘ব্যক্তিমালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় করোনা নমুনা সংগ্রহের ওই বুথটি ভেঙ্গে গেছে। বিষয়টি এড়িয়ে যেতেই নানান কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।’

নৈশ্যপ্রহরী ইয়াসিন আলী বলেন, ‘গত শনিবার থেকে গতকাল রবিবার সকাল অবধি ডিউটি পালন করে বাড়ি যাওয়ার সময়ও ওই বুথটি ভালো দেখেছি। আমি চলে যাওয়ার পর হয়তো ভ্যান কিংবা এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় বুথটি ভেঙেছে ধারণা করছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘গতকাল রবিবার সকালে আমি ভাঙা বুথটি দেখেছি। কিভাবে ভেঙ্গেছে আমি জানি না। বিষয়টি দিনাজপুর সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি এবং তদন্তের জন্য ডেন্টাল সার্জন সাজেদুর রহমান সাজুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি।’

এদিকে ব্যক্তিমালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে রাখার কোন নিয়ম নেই। তবে তারা কোন ক্ষমতার বলে রাখে আমার জানা নেই। সবখানেই দেখি হাসপাতালেই ব্যক্তিমালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়। এ বিষয়ে আমি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থাগ্রহণ করব।’