
দণ্ডপ্রাপ্ত নাহিদ সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-সংলগ্ন এলাকার মৃত গাজী তোজাম্মেল হকের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাহিদ তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মা রশিদা খানমের সঙ্গে শহরের মুজিব সড়কের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-সংলগ্ন নিজ বাড়িতে থাকতেন। ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রশিদা খানম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে রশিদা খানম ফজরের নামজ পড়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকালে পিংকী খাতুন তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে স্কুলে যান। তিনি বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পান নাহিদ চাদর গায়ে দিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বাড়ি পৌঁছে শাশুড়িকে ডাকতে থাকেন। পরে ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখতে পান শাশুড়ির গলাকাটা মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি জব্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে নাহিদ ইমরান নিয়ন পলাতক ছিলেন।
মামলায় আরও বলা হয়, নাহিদ জুয়া খেলায় জড়িত হয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। টাকা বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে নাহিদ ইমরান নিয়নসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রশিদা খানমকে ধারালো ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে পুলিশ নাহিদকে গ্রেপ্তার করলে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ আদালত নাহিদের মৃত্যুদণ্ড দেন।