মালদ্বীপে বিনিয়োগের সুযোগের জন্য আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান হলো মালদ্বীপ। বিশেষ করে ভারত ও চীনের জন্য এটা এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা এবং উচ্চাকাঙ্খার জায়গা হিসেবে পরিনত হয়েছে। আগের সরকার আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের শাসনকালে চীন উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনা বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তাদের বৈশ্বিক বাণিজ্যের উন্নতির জন্য। News Source – A24 News Agency

যদিও এর জন্য চীন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বিশেষভাবে নিন্দিত, কারণ তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে যা শোধ করার সামর্থ্য সে দেশগুলোর নেই। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের মুসলিম অ্যাফেয়ার্সের সমন্বয়কারী ডা: সিরাজ ইউনুস এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ”মালদ্বীপ এখন চীনা বিনিয়োগ থেকে বের হয়ে ভারতের দিকে ঝুঁকতে চাইছে। যদিও তারা চীনের সাথে একটি আইকনিক চুিক্তর মাধ্যমে মালে বিমানবন্দর থেকে মালে শহর পর্যন্ত দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করেছে।

তাহলে এখন কেন মালদ্বীপ সরে আসছে? কেন তারা আঞ্চলিক দেশ ভারত ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে? কারণটা একটি ছোট উদাহরণের মাধ্যমে বলছি, গত ২০১৫ এর ৮ জানুয়ারি আমাদের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন হয় এবং তাতে ভারত যুক্ত ছিলো। যুদ্ধের কারণেই আমাদের প্রতি ভারতের সমর্থন ছিলো, অবশ্যই পাকিস্তানেরও সমর্থন ছিলো। এখন যখন বিনিয়োগের প্রশ্ন আসলো তখন মনে হয় কেন? এটা কি একটা ঋণের ফাঁদ ছিলো? নাকি ছিলো আঞ্চলিকতার মসৃণ ফাঁদ? আমি এটাকে বলব আধুনিক সাম্রাজ্যবাদ।

এখন মানুষের সাথে রাইফেল, কামান, বন্দুক, তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ হয় না; তারা আপনাকে ঋণের ফাঁদে ফেলবে এবং দেশকে
ঋণ ও অন্যান্য সব দিক দিয়ে বেধেঁ ফেলবে।” এদিকে চীন বলছে তাদের শর্তগুলো খুবই সহজ ও সাবলীল এবং অতি প্রয়োজনীয়।
এতে যে সকল ধারা উল্লেখিত আছে তাতে কোন রাজনৈতিক শর্তাবলি নেই এবং যেখানে বিনিয়োগে পশ্চিমাবিশ্বের অনীহা তারা সেসব জায়গায় বিনিয়োগ করে।

বিআরআই এর পরিচালক এবং রাজনীতি, নিরাপত্তা ও সমাজ বিষয়ের লেখক, মায়া মাজুরান বলেছেন, ”চীনা বিআরআই কেন এত জনপ্রিয়, তা সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি তুলে ধরেছেন, বিআরআই একটি পাবলিক রোড যা একক রোডের পরিবর্তে সকলের জন্য উম্মুক্ত কওে দেয়া হয়। অংশগ্রহনকারী লোকদের জন্য বিআরআই একটি প্রত্যক্ষ সুবিধা নিয়ে এসেছে। যদি শ্রীলঙ্কাকে উদাহরণ হিসেবে নেন, তাহলে দেখবেন চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিএম পোর্ট দ্বারা পরিচালিত কলম্বো পোর্ট সিআইসিটি- টার্মিনাল শ্রীলংকার জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে।

একইভাবে হাম্বানটোটা বন্দরের কথাও বলা যায় যা লোকসান করছিলো, এখন সিএম বন্দর দ্বারা পরিচালিত হওয়ার ফলে তারা লাভ করছে এবং অনেক সুবিধাও পাচ্ছে। হাম্বানটোটায় এখন অনেক জাহাজ আসছে এবং তারা বিনিয়োগেও বিদেশীদেও আকর্ষণ করছে।”