তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে বাড়ির পার্শ্বের জঙ্গলে গাছের সাথে গলাই শাড়ি পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে এক সন্তানের জননী এক গৃহবধু। ওই গৃহবধুর নাম ফিরোজা বেগম (২২) তিনি তানোর উপজেলার বাতাসপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে এবং গোকুল গ্রামের আসাদুলের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তানোর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এনিয়ে গৃহবধুর ভাই হাসেম আলী বাদি হয়ে গৃহবধুর স্বামী শ্বশুরসহ ৪জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি আত্নহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন।
এঘটনায় তানোর থানা পুলিশ ওই গৃহবধুর স্বামী আসাদুল (২৭), তার পিতা অহিদুল (৫২), ভাই রাশেল (৩৪) আরেক ভাই আব্বাস আলী (১৯) কে গ্রেপ্তার করেছেন।মামলার বিবরণ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার বাতাসপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ের সাথে ৪বছর আগে একই উপজেলার গোকুল গ্রামের অহিদুলের ছেলে আসাদুলের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধুকে তার স্বামী শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। তাদের ৩বছরের ১টি ছেলে রয়েছে। গত বুধবার রাতে ওই গৃহবধু’র স্বামী বিলে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। গত বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ওই গৃহবধু বাড়ির পার্শ্বের জঙ্গলের একটি গাছের সাথে নিজের পরনের শ্বাড়ী পেচিয়ে আত্নহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসী জঙ্গলের গাছের সাথে ওই গৃহবধুর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে তানোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন এবং স্বামীসহ ৪জনকে আটক করে থানায় নেন।
এবিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এঘটনায় গৃহবধুর বড় ভাইয়ের দায়ের করা আতœহত্যার প্ররোচনার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, লাশ মর্গে প্রেরণ ও ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।