
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর কোন উন্নয়নই একক নয় এটি একটি সামষ্টিক ধারণা, একে অন্যের সাথে নির্ভরতা এবং মিথস্ক্রিয়ার ফলে আমরা একটি উন্নয়নকে সাধিত করতে পারি। একটি রাষ্ট্র পরিচালনা এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন করতে গেলে আমাদের সকল নাগরিকের মধ্যে একটি নির্ভরতা, সহমর্মিতার ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক লাগবে, সেই সম্পর্ক রচনার ক্ষেত্রে ক্রীড়াঙ্গন আমাদেরকে শিক্ষা ও উপদেশ দেয় এবং অনুপ্রাণিত করে। এই ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মমত্ববোধ রয়েছে, সুতরাং আমরা ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণটি নিশ্চিত করতে চাই। ক্রীড়াঙ্গনের যে অসীম শক্তি সেই শক্তিটি মানুষকে শুদ্ধ এবং মুক্ত বুদ্ধির চর্চায় নিবেদিত করে এবং মানুষকে অশুভ চিন্তা থেকে দূরে নিয়ে আসে।
রবি উপাচার্য বলেন, খেলাধুলা একজন মানুষকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে অনেক দূরে রাখতে পারে এবং শরীর চর্চা, আত্মশুদ্ধি এবং নিজের উন্নয়নকল্পে তারা নিবেদিত করতে পারে। যার ফলে আমরা সুস্থ এবং সুন্দর মনের মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এই ক্রীড়ার অসীম শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণ করে বলেন এক নেতার তর্জনীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছিলো দেশের মানুষ। যার নেতৃত্বে সকলে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।