মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের তিনটি খাস পুকুর দখলমুক্ত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর পুকুর তিনটি দখলমুক্ত হওয়ায় খুশি হন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে সীমানায় নিশানা পুতে দখলমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা। পরে মাছের পোনা ছেড়ে পুকুর তিনটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, এক সময় গ্রামের মসজিদের উন্নয়ন কল্পে পুকুর তিনটি চাষ করতেন গ্রামবাসী। পরবর্তীতে লীজের নামে পুকুর তিনটি দখলে নেয় একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। কিন্তু দখলবাজ তোফাজ্জল শক্তিশালী হওয়ায় কোনক্রমেই পুকুর তিনটি ফেরত পাইনি গ্রামবাসী। নিয়ম অনুসারে, খাস খতিয়ানের পুকুর সমিতির মাধ্যমে লীজ প্রদান করা হয়।
কিন্তু এই তিন পুকুর মামলার বেড়াজালে আটকে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছর একই ব্যক্তির দখলে রয়ে যায়। এমনকি লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে পুকুর তিনটি লীজ দেয়া থেকে বিরত থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দখলমুক্ত করে তা গ্রামবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা জানান, পুকুর তিনটি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এবং মামলা শেষে না হওয়া পর্যন্ত লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মেনে পুকুর তিনটি লীজ প্রদান করা হননি। কিন্তু যেহেতু খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত সেহেতু এটি কোন ব্যক্তি দখলে থাকতে পারে না। এই কারনে এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাছের পোনা ছেড়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, কেশরহাট ভূমি অফিসের নায়েব ইকবাল কাসেম সুমনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও গ্রামবাসীরা।