নিউজ ডেস্ক: দেশের অন্যান্য বিভাগ এবং জেলাগুলোর চেয়ে রাজশাহীর জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস কম শনাক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার করোনাভাইরাস নিয়ে জেলা পর্যায়ের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও জেলা প্রশাসক হামিদুল হক রাজশাহী বিভাগে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি তুলে ধরার পর প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সাবধান ও সতর্ক আছেন বলেই জেলাগুলো ভালো আছে। যে ক’জনই আছে আর যেন না ছড়াতে পারে সে জন্য আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে বোরোর সিজন। আজ যে কয়েকটি জেলার সঙ্গে আমি কথা বলছি তার প্রত্যেকটি জেলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানকার বোরো ধান যেন সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারেন তার ব্যবস্থা আপনারা করবেন। ধান কেনাবেচা বা যে কোনো ফসল কেনাবেচায় কোনো সমস্যা যেন না হয়। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে বিষয়গুলো দেখবেন। কাঁচামালসহ যেকোনো পণ্য পরিবহনে কেউ যেন বাঁধা না দেয় সে বিষয়গুলো আপনারা তদারকি করবেন। আমরা এবার কৃষকের কাছ থেকে ২১ লক্ষ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করব। ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম কোথাও যাতে না হয় এ দিকগুলো আপনারা দলীয় এবং প্রশাসনিকভাবে নজরদারি করবেন। ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আপনারা কাজ করবেন। তিনি ধান কাটার মৌসুমে কৃষককে ধান কাটায় সহযোগিতা করার জন্য আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) মোহাম্মদ আবুল কাসেম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার), পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য, সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান প্রমুখ।