
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত-আহাদ আলির ছেলে আবু বক্কর দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশি হাতেম আলির স্কুল পড়–য়া মেয়ে সায়েম উদ্দিন মেমেরিয়াল একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাইমাকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতো। এনিয়ে এক বছর আগে পারিবারিক ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে নিষেধ করা হয় বক্করকে। তারপরেও কোন ভাবেই ফাইমার পিছু ছাড়ে না লম্পট আবু বক্কর ।
এমনকি ফাইমার সাথে কথা বলতে নিষেধ করায় আবু বক্কর ফাইমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবে বলে হুমকি-ধামকিও দিয়ে আসতো। গত রবিবার সন্ধ্যায় আবারও ফাইমাকে কু-প্রস্তাব দিলে সে তার পরিবারকে জানিয়ে দেয়। এসময় নিহতের পরিবার প্রতিবাদ করলে আবু বক্কর পাশের গ্রাম থেকে ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী নিয়ে এসে নিহতের পরিবারে দুই দফা হামলা চালালে নিহতের মামা আব্দুল মজিদসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য রাণীনগর হাসপাতালে গেলে তৃতীয় বারের মত আবারও হামলা চালায়।
নিহতের মামী ছালমা জানান তৃতীয় দফায় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে আবু বক্কর ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর সদস্যরা স্কুল ছাত্রী ফাইমাকে মারপিট করে মেরে ফেলে দঁড়িতে ঝুলিয়ে রেখে যায় বলে আমরা ধারনা করছি। পরে ফাইমাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে থানাপুলিশ বাহাদুরপুর গ্রামের শহিদুলের ছেলে স¤্রাট (২০), একই গ্রামের গফুরের ছেলে মোসাদ্দেক (৩০) ও পাশের সদর উপজেলার চন্ডিপুরগ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ইমনকে (২০) গ্রেফতার করে সোমবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা করেছে। প্রধান আসামী আবু বক্কর পলাতক রয়েছে।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন এবং সদর হাসপাতাল থেকেই লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। প্রধান আসামী আবু বক্কর পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।