অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর (৬৫) দেড় বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যায়। তখন তিনি তার বড় ছেলে পিন্টু সরদারের কাছ থেকে ৫শতাংশ জমি বিক্রি করার নামে টাকা নিয়ে চিকিৎসা করেন। তার ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন ইয়াছিন আলী। ছোট ছেলে ঢাকায় থাকে আর পিন্টুসহ ৩ ছেলে বাড়িতে আলাদা ভাবে বসবাস করে। কিন্তু বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের বিপদে পাশে থেকে সহযোগিতা করেন বড় ছেলে দিনমজুর পিন্টু। কিন্তু অপর দুই ছেলে ঝন্টু ও বেলাল বাবা-মাকে ফিরে দেখে না। পিন্টুর কাছে বিক্রি করা সেই জমি ইয়াছিন আলী সম্প্রতি লিখে দেন।
এই বিষয়টি ঝন্টু ও বেলাল জানার পর বৃহস্পতিবার রাতে তারা দু’জন পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে শয়ণ ঘর থেকে মারপিট করে বাহিরে টেনে এনে আবার মারপিট করে। ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলেছে। পরে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে ছেড়ে দিলে পিন্টু শয়ন ঘরে চলে যায়। পরে ওই দুজন আবার পিন্টু ও তার স্ত্রী-ছেলের উপর হামলা করলে পিন্টুর স্ত্রী গুরুত্বর আহত হয়। এছাড়াও ঝন্টু ও বেলাল বাবা বৃদ্ধ ইয়াছিনকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া ও প্রাণনাশের হমুকি-ধামকী প্রদান অব্যাহত রাখায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পিন্টু ও তার বৃদ্ধ বাবা-মা।
ইয়াছিন আলী বলেন ঝন্টু আর বেলাল খুবই খারাপ ও বেয়াদব। তারা আমাকে দেখে না। পিন্টু আমাকে যেটুকু সহযোগিতা করে। পিন্টুর পাওনা অংশ আমি লিখে দিয়েছি। ঝন্টু ও বেলাল আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমাকে লাথি ও মারপিট করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানিয়েছি। তারা বলেছে পরিবেশ একটু শান্ত হলে তারা বসবে। আমি ঝন্টু ও বেলালের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
অভিযোগকারী পিন্টু সরদার বলেন, বাবা আমাদের সবাইকে সমান জমি দিয়েছে। বেলাল যখন অনেক টাকা ঋণ করেছিলো তখন বাবা তার জমি বিক্রি করে বেলালের ঋণ পরিশোধ করেছিলো। আর বাবা চিকিৎসা করার জন্য আমার কাছে যে জমি বিক্রি করেছিলেন তা এখন আমাকে লিখে দিয়েছেন।
এছাড়া থানায় জিডি করার কারণে তারা আমাকে হুমকি-ধামকী দিচ্ছে। এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভোগার জন্য আমি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ঝন্টু ও বেলাল বলেন আমাদেরকে কিছু বলেনি কেন তাই আমরা এই কাজটি করেছি। আমরাও তো তার ছেলে। আমরাও একটি কথা জানার অধিকার রাখি।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন গত সোমবার এই বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী পেয়েছি। সাধারন ডায়েরী যদি মামলা আকারে লিপিবদ্ধ হয় তাহলে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।