ইসরায়েলে পাঠানোর জন্য নির্ধারিত একটি বোমার চালান গত সপ্তাহে আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা চালাতে এসব বোমা ব্যবহার হতে পারে এমন শঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন। ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলে সামরিক সাহায্য পাঠাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন যে এখন থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হলো বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।
প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ৯০৭ কেজি ও ২২৬ কেজি বোমার চালানটি এ কারণে স্থগিত করা হয়েছে, ইসরায়েল বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আশঙ্কাকে’ পুরোপুরি আমলে নেয়নি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) রাফাহ শহরে ট্যাংক বহর পাঠিয়ে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নেয় ইসরায়েল। পাশাপাশি বন্ধ করে দেয় মিসর-রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্র ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, দেশটি সেটি সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসনের কড়া অবস্থানকেই তুলে ধরে। সে সময় বলা হয়েছিল, গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ইসরায়েলের তৎপরতার ওপর নির্ভর করবে।
এদিকে ইসরায়েল যখন রাফা শহরে ব্যাপক আকারে সামরিক অভিযানের প্রান্তে, তখনই বোমার চালান বন্ধ করে দেওয়ার খবরটি এল। ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুহারা ফিলিস্তিনি এখন আশ্রয় নিয়েছে রাফায়। আর সেখানে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোরতর বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিকল্প আলোচনা চলছে, তবে এ বিষয়ে আমাদের আশঙ্কাটি আমলে নেওয়া হয়নি। ধরে নেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি নেতারা এ ধরনের অভিযান চালানোর পক্ষে। আর এক্ষেত্রে রাফায় ব্যবহার করা হতে পারে এমন আশঙ্কার জায়গা থেকেই অস্ত্রশস্ত্রের ওই চালান পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়ন হচ্ছে।’
হোয়াইট হাউস এর আগে বলেছিল, ইসরায়েল তাদের জানিয়েছে, রাফাহ শহরের অভিযান হবে সীমিত আকারে এবং তা সর্বাত্মক হামলা হিসেবে পরিচালিত হবে না।